ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারত যে বিরাট-রোহিতদের সে দেশে খেলতে পাঠাবে না এটা এক প্রকার নিশ্চিত। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে একাধিক রিপোর্ট সামনে আসছে, কেউ কেউ মনে করছে হাইব্রিড মডেলে আয়োজিত হতে পারে টুর্নামেন্ট। সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের পাশাপাশি অন্য কোনও দেশকে আয়োজক হিসেবে বেছে নিতে পারে ICC, ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল এশিয়া কাপের ক্ষেত্রে। আরেকটা রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে পুরো টুর্নামেন্টই সরিয়ে নেওয়া হতে পারে পাকিস্তান থেকে, সেক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশকে আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হতে পারে। তবে এই পুরো বিতর্কের মাঝে বড় মন্তব্য করে বসলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার। তিনি মনে করছেন PCB বা BCCI নয়, টুর্নামেন্ট কোথায় হবে সেটা নির্ভর করছে ꦚBJP সরকার কী চাইছে তার উপর।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে পুরো বিতর্কে🌺র শুরু হয় যখন BCCI-র তরফে পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকার করা হয়। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও ছাড়ার পাত্র নয়। তাদের তরফে ICC-র দেওয়া হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে শোয়েব এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা পুরোটাই সরকারের উপর নির্ভর করছে। BCCI-এর কিছু করার নেই, এটা নির্ভর করছে BJP সরকারের উপর। তারা এটা ঠিক করবে।’ তবে তিনি এখনও টুর্নামেন্ট পাকিস্তানে হওয়া নিয়ে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘ব্যাক চ্যানেলে আলোচনা চলছে। যুদ্ধের সময়েও ব্যাক চ্যানেলে আলোচনা হয়ে থাকে। আমরা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আশাবাদী, তবে এটাও একটা স🍃ত্যি যে ICC-র ৯৫-৯৮ শতাংশ স্পনসরশিপ আসে ভারত থেকে।’
শোয়েব আখতার মনে করেন যদি পাকিস্তান ভারতকে তাদের দেশে আনতে ব্যর্থ হয়ে তবে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি পাকিস্তান ভারতকে পাকিস্তানে নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয় তাহলে দুটোই জিনিস হবে। প্রথমত ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়বে পাকিস্তান, যা তাদের ICC-র থেকে স্পনসরশিপ বাবদ পাওয়ার কথা। দ্বিতীয়ত, ভারতের জন্য ভালো যদি তারা পাকিস্তানে এসে খেলতে পারে, যদিও এটা পুরোটাই সরকারের উপর নির্ভর করছে। BCCI-এর এতে কিছু করার নেই। যদি এটা হয় তবে বিরাট কোহলি প্রথমবার পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে পারবে। আপনি ভাবুন তিনি লাহোরে যদি একটি শতক লাগান, তাহলে তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে পূর্ণ বৃত্ত𝔍 সম্পন্ন করবে।’