শুভব্রত মুখার্জি: সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বিপজ্জনক দল হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান। তাদের পারফরম্য🃏ান্সের মধ্যে দিয়ে তারা ভয় ধরিয়ে দিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের তথাকথিত কুলীন দলগুলোকে। গত ওডিআই বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্ট ধারাবাহিক। তিন তিনটি প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশকে হারায় তারা। ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে তারা হারিয়ে দেয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনবদ্য পারফরম্যান্স করে ম্যাচে জয়ের পরিস্থিতিতে চলে গিয়েও, হারতে হয়েছিল তাদের। জোনাথন ট্রটের ছেলেরা ওডিআই ফর্ম্যাটে তাদের ফর্ম এবং ধারাবাহিকতা যে এখনও ধরে রে🍃খেছে, তার নিদর্শন ফের একবার পাওয়া গেল।
গত বছর ওডিআই বিশ্বকাপের পর এই প্রথম শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এই ফর্ম্যাটে খেলতে নেমেছিল আফগানিস্তান দল। লঙ্কার দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে, তাদের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। মাত্র ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। সেখান থেকে জুটি বেঁধে 🥃দলকে লড়াইতে ফেরান মহম্মদ নবি এবং আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। জুটিতে দ্বিশতরান যোগ করেন তাঁরা। দলকে এদিন এত লড়াইয়ের পরে জেতাতে না পারলেও, জুটিতে নজির গড়েছে𒆙ন নবি-ওমরজাই।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওডিআই ফর্ম্যাটে রান তাড়া করতে গিয়ে সর্বাধিক রানের জুটি গড়েও ম্যাচে হারের ক্ষেত্রে শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে নবি-ওমরজাইয়ের জুটি। এদিন শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২২♏৪ বল খেলে ২৪২ রানের জুটি গড়েছেন দু'জনে। তারা ভেঙে দিয়েছেন ২৬ বছর আগেকার এক পুরনো রেকর্ডকে। উল্লেখ্য ১৯৯৮ সালে ভারতের বিরুদ্ধে ২৩৫ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার সৈয়দ আনোয়ার এবং ইজাজ আহমেদ। তার পরেও সেদিন ম্যাচ হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। এই ১৯৯৮ সালেই আরও একবার ঘটেছিল এমন ঘটনা।
এবারের ঘটনা ঘটেছিল ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে। ২৩০ রানের পার্টনারশিপ সেদিন গড়েছিলেন হার্সেল গিবস এবং গ্যারি কার্স্টেন। তার পরেও ম্যাচ হেরেছিল প্রোটিয়া🌄রা। ২০০৭ সালে এমনই ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল আয়ারল্যান্ড বনাম কেনিয়া ম্যাচ। সেই ম্যাচে জুটিতে আয়ারল্যান্ডের কেভিন ওব্রায়েন এবং উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ২২৭ রান করেন। তার পরেও ম্যাচ হেরেছিল আয়ারল্যান্ড। এই তালিকাতেই শেষে রয়েছে ফের আফগানিস্তান দল। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরান জুটিতে করেন ২২৭ রান। 🧸সেদিনও এদিনের পাল্লিকেলের মতন ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানরা।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর বিরুদ্🍸ধে ফের শতরান, ২০২৪-এই প্রথম শ্রেণির ক্র𒀰িকেট মিলিয়ে চার সেঞ্চুরি পাডিক্কালের
এদিন পাল্লিকেলেতে প্রথমে ব্যাট করে পাথুম নিসঙ্কার দ্বিশতরানের ইনিংসে ভর করে নির্ধা🐷রিত ৫০ ওভারে ৩৮১ রান করে শ্রীলঙ্কা। অভিষ্কা ফার্নান্দো করেন ৮৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই সমস্যায় পড়ে যায় আফগানরা। ৫৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। ধুঁকতে থাকা আফগানিস্তান দলকে লড়াইতে ফেরান আজমাতুল্লাহ ওমরজাই এবং মহম্মদ নবির জুটি। মাত্র ২২৪ বলে ২৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। দু'জনেই শতরান করেছেন। ১৩০ বলে ১৩৬ রান করেছেন মহম্মদ নবি। তাঁর ইনিংস সাজিয়েছেন ১৫টি চার এবং তিনটি ছয়ে। অন্যদিকে আজমাতুল্লাহ ওমরজাই মাত্র ১১৫ বলে করেছেন ১৪৯ রান। তিনি অবশ্য অপরাজিত থাকেন শেষ পর্যন্ত। তাঁর ইনিংসে তিনি হাঁকান ১৩টি চার এবং ছটটি ছয়। তবে নবি-ওমরজাইয়ের এত লড়াইয়ের পরেও ৩৩৯ রানেই আটকে যায় আফগানরা। ফলে ৪২ রানে ম্যাচ হারতে হয়েছে তাদের।