একাধিক খেলায় দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা খেলোয়াড়ের সংখ্যা মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হাতে গোনা। অ🔯স্ট্রেলিয়ার এলিস পেরি দেশের হয়ে ফুটবল ও ক্রিকেটে মাঠে নেমেছেন। নিউজিল্যান্ডের সুজি বেটস সেই তালিকায় অন্যতম নাম। যদিও ফুটবলে নয়, ক্রিকেটের পাশাপাশি সুজি দেশের হয়ে লড়াই চালিয়েছেন বাস্কেটবলে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সুজি বেটস নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামেন ২০০৬ সালে। তার পরেও তিনি দেশের হয়ে বাস্কেটবলে প্রতিনিধিত্ব করেন। অর্থাৎ, সমান্তরালে ২টি খেলায় নিউজিল্যান্ডের জার্সিꦬ গায়ে তোলেন সুজি।
আর পাঁচটি সাধারণ ম্যাচে নয়, বরং সুজি নিউজিল্যান্ডের হয়ে বাস্কেটবল খেলেছেন অলিম্পিক্সের মঞ্চে। তিনি ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিক্সে নিউজিল্যান্ডের হয়ে লড়াই চালান। নিউজিল্যান্ড সেই অলিম্পিক্সের বি-গ্রুপে লড়াই চালায় আমেরিকা, চিনা, স্পেন, চেক প্রজাতন্ত্র ও মালির বিরুদ্ধে। যদিও মালির꧟ বিরুদ্ধে একটি মাত্র ম্যাচ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নিউজিল্যান্ডকে।
দেশকে অলিম্পিক্সের পদক দিতে না পারলেও সুজি বেটস নিউজিল্যান্ডকে টি-২০ বিশ♕্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেন। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ফাইনালে দলের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন সুজি। তিনি ওপেন করতে নেমে ৩১ বলে ৩২ রানের কা꧂র্যকরী ইনিংস খেলেন। মারেন ৩টি চার। পরে ম্যাচে ৩টি ক্যাচও ধরেন সুজি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রবিবার টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের মঞ্চে দুর্দান্ত এক বিশ্বরেকর্ড গড়েন সুজি বেটস। ফাইনালের প্রথম একাদশে নাম থাকা মাত্রই বিশ্বরেকর্ড চলে যায় সু🐼জির দখলে। মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্বরেকর্ড গড়েন সুজি। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে এটি তাঁর ৩৩৪তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। উল্লেখ্য, সুজি এখনও পর্যন্ত কোনও টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামেননি। তিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৬৩টি ওয়ান ডে ও ১৭১টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেন।
এতদিন মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্র꧙িকেটে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার বিশ্বরেকর্ড ছিল ভারতের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন মিতালি রাজের নামে। টেস্ট, ওয়ান ডে ও টি-২০, তিন ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ৩৩৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন মিতালি। এবার সেই রেকর্ড মিতালির থেকে ছিনিয়ে নিলেন সুজি বেটস। মিতালি বর্ণোজ্জ্বল কেরিয়ারে ১২টি টেস্ট, ২৩২টি ওয়ান ডে ও ৮৯টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন।