শুভব্রত মুখার্জি: ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা সাধারণত মাঠ এবং মাঠের বাইরে বরাবরের বর্ণময় চরিত্র। সেই তালিকায় রয়েছেন টি-২০ বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিকেটার মার্লন স্যামুয়েলসও। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলেননি এই ক্রিকেটার। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ এবার প্রমাণিত। ফলে চার চারটি ধারায় দুর্নীতির অভিযোগে শাস্তির মুখে পড়তে হল তাঁকে। কোনও ম্যাচ না খেললেও টি-১০ লিগে আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী কোডের চারটি ধারা ভঙ্গ করেছেন মার্লন স্যামুয়েলস! আর সেই কারণেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার। আর যার জেরেই এবার ব🃏ড়সড় শাস্তি পেতে চলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে দুইবারের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার।
আইসিসির তরফে এক বিবৃতিতে এই বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বুধবারেই।২০১৯ সালে টি-১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি টু্র্নামেন্টে খেলেছিলেন তিনি। সেখানে কর্ণাটক টাস্কার্স দলে ছিলেন স্যামুয়েলস। যদিও সেবার কোন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষে স্যামুয়েলসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিল আইসিসি। যেখানে চারটি ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। আইসিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুর্নীতিবিরোধী কোডের ২.৪.২, ২.৪.৩, ২.৪.৬ ও ২.৪.৭ নম্বর ধারা ভ𒆙েঙেছেন স্যামুয়েলস।
আইসিসির এই ধারাগুলিতে কী বলা রয়েছে? উপহার, অর্থ, আতিথেয়তা বা অন্য সুবিধা নেওয়ার তথ্য আইসিসির দুর্নীতিদমন শাখার কর্মকর্তাকে তিনি জানাননি।ফলে ভঙ্গ হয়েছে ২.৪.২ ধারাটি। পাশাপাশি ৭৫০ বা তার বেশি ইউএস ডলার নেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। যার সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে।সবগুলো ধারা প্রমাণিত হওয়ায় কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে স্যামুয়েলসকে। এবারই প্রথম এমন শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তিনি এমনটা নয়। প্রায় এক অপরাধে ২০০৮ সালে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এই বোলিং অলরাউন্ডার। ফলে এই নিয়ে তাঁর কেরিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো শাস্তি পেতে চলেছেন স্যামুয়েলস। প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনি ফিরেও এসেছিলেন।ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নিয়মিত খেলছিলেন তিনি। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতেন তিনি। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭৮ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন🐻 তিনি। ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও পেয়েছিলেন স্যা🌄মুয়েলস। ২০১৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল তাঁর। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। ৬৬ বলে অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।