ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা স্পিনার অমিত মিশ্র। ভারতীয় এই লেগ-স্পিনার জাতীয় দলের পাশাপাশি সাফল্যের সঙ্গে খেলেছেন আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে। ভা💮রতীয় ক্রিকেটের বর্তমান সময়ের তারকাদের একেবারে কাছ থ🍃েকে দেখার এবং জানার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।বিভিন্ন তারকাদের অধিনায়কত্বেও খেলেছেন তিনি। এবার সেই তিনিই তাঁর সঙ্গে বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করলেন। বিস্তারিতভাবে তাঁদের সম্পর্ক এবং সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়েই বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন!
২০১৫-১৭ সালের মধ্যে বিরাট কোহলির অধিনায়কত্বে ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছ෴িলেন অমিত মিশ্র। রোহিত এবং বিরাটকে নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মিশ্র জানিয়েছেন, একজন পরিবেশ, পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছিলেন। আর একজন কীভাবে একরকম থেকে গিয়েছেন। ঘটনাচক্রে এক বছরের ব্যবধানে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। এরপর জাতীয় দলের হয়ে আইসিসির একাধিক ট্রফিতে তাদের হৃদয় ভাঙার পরে শেষ পর্যন্ত তারা ২০২৪ টি-🏅২০ বিশ্বকাপে এসে আইসিসি ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছে।
ইউটিউবার শুভঙ্কর মিশ্রর শো'তে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিকেটার হিসেবে সচিন তেন্ডুলকর যে সম্মান পান, তা কি বাকিরা পান? বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে অমিত মিশ্র 💛বলেছেন, ‘আমি মিথ্যা বলব না ক্রিকেটার আমি ওনাকে(সচিনকে) দারুণ সম্মান করি। ত🀅বে সবার জন্য এই সম্মানটা এক নয়।আমার সবার সঙ্গে এক সম্পর্ক নেই।’
তিনি বলেন, 'বিরাটে♕র কেন কম বন্ধু আছেন জানেন?𒁏 কারণ বিরাট এবং রোহিতের চরিত্রটা একেবারে আলাদা। আমি রোহিতের বিষয়ে একটা ভালো কথা আপনাকে বলি। আমার সঙ্গে যখন ওঁর প্রথমবার দেখা হয়েছিল সেদিনও রোহিত যা ছিল আজকেও তাই আছে। ফলে ওঁর সঙ্গে আজকেও আমি নিজেকে মেলাতে পারি। এমন কেউ (বিরাট) রয়েছে যে পরিবেশ,পরিস্থিতির সঙ্গে বদলায় তাঁর সঙ্গে মেলানো মুশকিল। অন্যদিকে, রোহিতের সঙ্গে কিন্তু এই সমস্যাটা নেই। আমি দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের সদস্য ছিলাম। এরপরেও যখন আমি আইপিএল বা অন্য কোন খেলা খেলতে গিয়ে রোহিতের সঙ্গে দেখা করেছিও কিন্তু আমার সঙ্গে হাসি মজা করেছে। ওঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমায় চিন্তা ভাবনা করে কথা বলতে হয় না। ও ভারতীয় দলের অধিনায়ক, বিশ্বকাপ জিতেছে, পাঁচটি আইপিএল ও জিতেছে তারপরে ও আমার সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক রয়েছে ওঁর।'
তারকা লেগস্পিনার আরও বলেন, 'আমি বিরাটকে অনেক পালটে যেতে দেখেছি। আমাদের মধ্যে কথা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যখন লোকে জনপ্রিয়তা ও ক্ষমতা পান, তখন তাঁඣরা মনে করেন যে লোকে শুধু নিজের ধান্দায় কথা বলতে আসছে। আমি কখনও ওরকম ছিলাম না। চিকুর (বিরাট) বয়স যখন ১৪, তখন থেকে ওকে চিনি আমি। যখন ও সিঙাড়া খেত, যখন প্রতি রাতে ওর পিৎজা লাগত। কিন্তু আমি যে চিকুকে জানতাম, তার সঙ্গে অধিনায়ক বিরাটের অনেক পার্থক্য ছিল। আগে যখন আমার সঙ্গে দেখা হত, আমায় খুব সম্মান দেখাত। কিন্তু এখন বিষয়টা ওরকম নয়।'