টেস্ট ক্রিকেটে লাগাতার ব্যর্থতার জেরে সমালোচনা শুনতে হচ্ছে বিরাট কোহলিকে। তাঁর যে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সমস্যা রয়েছে তা এখন কারোর অজানা নয়। তবে এবার কোহলির নতুন বল খেলার টেকনিক নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তাঁর একদা সতীর্থ চেতেশ্বর পূজারা। গাব্বা হোক কিংবা অ্যাডিলেডে সব জায়গায় ট্রেডমার্ক বিরাট কায়দায় আউট হয়েছেন তিনি। পার্থের দ্বিতীয় ইনিংসের শত🌟রান বাদ দিলে বর্ডার গাভাসকর সিরিজে এখনও পর্যন্ত সেভাবে রান করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
এক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পূজারা বলেন ‘আমরা আগেও আলোচনা করছিলাম যে তাকে নতুন বল খেলতে বা🍸ধ্য করা হয়েছে। সে যখনই নতুন বল খেলেছে তখনই আউট হয়েছে। পুরোনো বল খেলেই পার্থে সেঞ্চুরি করেছে ও। সুতরাং এটি খুবই বড় পয়েন্ট।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘তার টেকনিক নতুন বলের জন্য নয়, তার ১০, ১৫, ২০ ওভার পর ব্যাটিং করতে আসা উচিত। ও যখন নতুন বল খেলতে আসে তখন বোলাররা ফ্রেশ থাকে, তাদের আত্মবিশ্বাস অনেক তুঙ্গে থাকে। যখন নতুন বলে ২🌊 উইকেট পড়ে যায় তখন বিপক্ষ দলের মানসিকতা অন্যরকম হয়ে যায়। সেই সময়টা ব্যাট করা মোটেও সহজ কাজ নয়।’
২০২৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটে এখনও পর্যন্ত ১৭ ইনিংস খেলেছেন বিরাট কোহলি, রান করেছেন ৩৭৬। এই সময়কালে মাত্র ১টি সেঞ্চুরি এবং ১টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এবছরের তাঁর ব্যাটিং গড় ২৫.০৬। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চলমান সিরিজে কোহলি পাঁচ ইনিংসে মাত্র ১২৬ রান করতে পেরেছেন। তার উপর স𝓡েই ১২৬ রানের মধ্যে ১০০ রান এসেছে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে। যেখানে ভারত ২৯৫ রানে জয় লাভ করেছিল। এখনও পর্যন্ত সিরিজের ৫ ইনিংসের মধ্যে ৩টিতেই দুই অঙ্কের রান পেতে ব্যর্থ হয়েছেন কোহলি।
পূজারা বলেন, ‘যখন চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ স্টাম্পের মাঝে বল করা হচ্ছে তখনই খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যাচ্ছেন বিরাট, যেটা মোটেও ভালো বিষয় নয়। সে নিজেও সেটা বুঝতে পারছে। আমরা নেট সেশনেও তাকে সেই জায়গার বলগুলিকে ছাড়ার উপর জোর দিতে দেখেছি, কিন্তু বাস্তবে ম্যাচে ও সেটা করে দেখাতে পারছে না। এই ম্যাচে সে বলটি ছাড়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু কোনও কারণে তা পারেনি। ব্যাট চালিয়ে বসে। তাই বোঝা যাচ্ছে ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ওকে নিজের মানসিকতা বদল করতে হবে। অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলার বিষয়টার সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। তবে সে যদি বলটি ছাড়তে চায় সেক্ষেত্রে বড় কিছু টেকনিক্যাল বিജষয় নেই, কিন্তু তাকে তার জন্য মানসিক ভাবে তৈরি হতে হবে।’