সবশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। দীর্ঘ ৭ মাস পর আবার টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছেন তেম্বা বাভুমা। এবার ত্রিনিদাদ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিক𝓡াꦗ, আর মাঠে নেমেই দারুণ ব্যাটিং করলেন তিনি। তবে তাঁর এদিনের ইনিংসটা আরও ভালো হতেই পারত, কারণ এদিন মাত্র ১৪ রানের জন্য নিজের শতরান হাতছাড়া করেন বাভুমা। যদি এদিন আর ১৪ রান করতেন তাহলে টেস্ট কেরিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট দলের অধিনায়ক।
আরও পড়ুন… Paris Olympics 2024: পাকিস্তানের আরশাদও তো আমার ছেলের মতো- নীরজ চোপড়ার রুপোর 🦹পদকে খুশি তাঁর মা
পোর্ট অফ স্পে𝔉নের ব্যাটিং স্বর্গে সেঞ্চুরি না পাওয়ার দায়টা অবশ্য তারই। জেডন সিলসের নিরহ এক ফুলটস বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান তিনি। এদিনের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিটা পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ♒বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন। ২০২৩ সালের মার্চে ঘরের মাঠ জোহানাসবার্গে কেরিয়ারের সর্বোচ্চ ১৭২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার ৭ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসটিতে আরেকটি আক্ষেপ লুকিয়ে রয়েছে। আর ৩ রান করলে প্রতিপক্ষের মাঠে কেরিয়ারের সর্বোচ্চ গড়তে পারতেন বাভুমা। ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা ৮৯ রানের ইনিংসটি হল তেম্বা বাভুমার প্রতিপক্ষের মাঠে করা সর্বোচ্চ রান।
এদিনের ম্যাচে বাভুমার মতোই সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত ছিলেন টনি ডি জর্জিও। ৭৮ রানের মাথায় জোয়েল ওয়ারিকানের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে নিজের বিপদ 𒁃ডেকে আনেন তিনি। কাভেম হজকে ক্যাচ দিয়ে বসেন টনি ডি জর্জি। সেঞ্চুরি না পেলেও দুজনের ফিফটি দ্বিতীয় দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮ উইকেটে ৩৪৪ রান করেছে তারা। বৃষ্টির কারণে প্রথম দিনে মাত্র ১৫ ওভারের খেলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন… ভিনেশ ফোগাটের হয়ে আইনের লড়াইয়ে নামবেন ভারতের প্রখ্যাত আইনজ🌞ীবী! কখন শুরু হবে🌟 শুনানি?
দ্বিতীয় দিনে ১ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটার জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস। তবে বেশিক্ষণ সতীর্থকে সঙ্গ দিতে পারেননি স্টাবস। দলীয় ৮৬ রানের সময় আউট হন তিনি (২০)। এরপর তৃতীয় উইকেটে জর্জি-বাভুমা ৫১ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যা﷽ন। তবে জর্জি আউট হওয়ার পর এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে সুবিধাজন অবস্থায় নিয়ে যান বাভুমা।
৩৪৪/৮ রানে অবশ্য কাইল ভেরেইনার ৩৯ ও অপরাজিত উইয়ান মুল্ডারের ৩৭ রানের অবদানও কম নয়। মুল্ডারের সঙ্গে ১২ রানে অপরাজিত আছেন কাগিসো রাবাদা। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন ওয়ারিকান। আরꦇ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সিলস ও কেমার রোচ। দারুণ ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিলেন টনি ডি জর্জি ও তেম্বা বাভুমা। তবে শেষ দিকে বাঁহাতি স্পিনে লাগাম টেনে ধরলেন জোমেল ওয়ারিক্যান। দিন শেষে তাই বেশি দূর যেতে পারল না প্রোটিয়ারা।