বিশ্বকাপ ২০২৩-এর প্রথম চার ম্যাচে ভারত তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে একটি মাত্র বদল করে। চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে ভারত বাড়তি স্পিনার নিয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই মাঠে নামান🌞ো হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচই অশ্বিনের বদলে দলে ঢোকেন শার্দুল ঠাকুর।
ভারত একই প্লেয়িং ইলেভেনে মাঠে নামে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবে বিপত্তি দেখা দেয় বা💖ংলাদেশ ম্যাচে। হার্দিক পান্ডিয়া বল করার সময় পায়ে চোট পেয়ে বসেন। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে ভারতকে তাদের কম্বিনেশনে বদল করতে হয়। এক্ষেত্রে একা হার্দিকের খামতি ঢাকতে ভারতকে তাদের প্লেয়িং ইলেভেন একজোড়া বদল করতে হয়। অল-রাউন্ডারের বদলে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার-বোলারের উপর নির্ভর করাই শ্রেয় মনে করে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম ম্যাচে ভারত শার্দুলকেও মাঠের বাইরে পাঠায়। হার্দিকের জায়গায় দলে ঢোকেন সূর্যকুমার যাদব। শার্দুলের জায়গা💦য় প্রথম একাদশে জায়গা পান মহম্মদ শামি। সেই থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ভারত অপরিবর্তিত একাদশে মাঠে নামে।
হার্দিকের চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া এক্ষেত্রে শাপে বর হয়ে দেখা দেয়। কেননা, ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদব টিম ম্যানেজমেন্টকে নিতান্ত হতাশ করেননি। তবে ভারতের পারফর্ম্যান্সে সব থেকে ইতি🎉বাচক প্রভাব পড়ে মহম্মদ শামি মাঠে নামার পরে। শামি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫টি, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪টি, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫টি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২টি ও সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭টি উইকেট দখল করেন।
আরও ♉পড়ুন:- ইডেনের গ্যালারিতে ফিরল লর্ডসের স্মৃতি, খালি গায়ে জার্সি ওড়ালেন খুদে ‘সৌরভ’- ভিডিয়ো
কেবল নেদারল্যন্ডসের বিরুদ্ধে নিয়ম রক্ষার লিগ ম্যাচে শামি উইকেটহীন থাকেন। সেমিফাইনালে শামি কার্যত একার হাতে জয় এনে দেন টিম ইন্ডিয়াকে। এমনটা নয় যে, হার্দিক থাকাকালীন বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ভারতের দলগত পারফর্ম্যান্স নিতান্ত খারাপ ছিল। ভার𒈔ত জয় তুলে নেয় সেই চারটি ম্যাচেও। তবে শামি আꦬসার পরে ভারতের বোলিং লাইনআপকে কার্যত অপ্রতিরোধ্য দেখাচ্ছে। শামির জন্যই হার্দিকের অভাব টের পায়নি ভারত।
ভারতীয় দল বরাবর একজন যথাযথ পেসার অল-রাউন্ডারের অভাব টের পেয়েছে। তবে চলতি বি𒉰শ্বকাপে বিশেষজ্ঞ বোলারদের দিয়ে বাজিমাত করায় অল-রাউন্ডারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে না টিম ইন্ডি꧑য়া।
বিশ্বকাপ ২০২৩-তে হার্দিক, শার্দুল, সূর্যকুমার ও শামির ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স:-
হার্দিক পান্ডিয়া- ৪ ম্যাচে ১১ রান (১টি ইনিংসে) ও ৫টি উইকেট।
শার্দুল ঠাকুর- ৩ ম্যাচে ২টি উইকেট।
সূর্যকুমার যাদব- ৬টি ম্যাচে ১টি ৪৯ রানের ইনিংস-সহ ৮৮ রান।
মহম্মদ শামি- ৬ ম্যাচে ২৩টি উইকেট।