আফগানিস্তাꦏনকে আট উইকেটে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে ভারতীয় দল। কিন্তু আমদাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ম্যাচের আগে রোহিত শর্মার গলায় সতর্কতার সুর। কোনও কোনও ম্যাচ যে আসবে যেখানে বিপক্ষ চাপে ফেলবে, তখন সেটাকে কাটানোই বিশ্বকাপের যাত্রায় প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে, কার্যত সতীর্থদের সেটা মনে করিয়ে দিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। প্রসঙ্গত ২০১৯-এ গ্রুপ লিগে দুর্দান্ত খেলেও সেমিতে হেরে যায় দল। সেই হারের জ্বালা যে এখনও ভুলতে পারেনি দলের তারকারা, বিভিন্ন কথায় সেটায় উঠেই আসে।
এদিন অনবদ্য ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হন রোহিত। ভেঙেছেন একাধিক রেকর্ডও। তবে ম্যাচের শেষে সেসবের দিকে তেমন নজর দিতে চাননি তিনি। তাঁর পাখির চোখ বড় টার্গেটের দিকে। একই ভাবে দল প্রসঙ্গেও কথা বলেন তিনি। রোহিত বলেন টুর্নামেন্টের🍎 শুরুতেই তারা যে ছন্দ পেয়েছেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারপর বলেন বড় প্রতিযোগিতা পুরোটাই হল চাপ হজম করার খেলা। কোনও একটা সময় আসবেই যখন প্রতিপক্ষ আপনাকে চাপে ফেলবে। তবে সেটা হজম করে ভালো খেলতে হবে। বিশ্বকাপের আগে সেরকম প্রস্তুতি ভারত করেছে বলে তিনি জানান। দলে সব ধরনের খেলোয়াড়ই আছে বলে রোহিত খুবই আত্মবিশ্বাসী।
তাঁর কথায় এমন লোকজন আছে যারা নির্ভয়ে খেলতে পারে, আবার অনেকে আছে যারা প্রয়োজনে চাপটা সহ্য করতে পারে যেমন শেষ ম্যাচে করতে হয়েছিল। পরের ম্যাচের আগে স্বাভাবিক ভাবেই চাপ বাড়বে কারণ সবার প্রত্যাশা থাকবে ভারতের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওডিআই বিশ্বকাপে যে রেকর্ড আছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে। প্রসঙ্গত এখনও ভারত কখনো ওডিআই বিশ্বকাপে চির প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে হারেনি। ফলে আমদাবাদে সেই ট্রেন্ড অক্ষুণ্ণ রাখার চাপ নিশ্চিত ভাবেই থাকবে রোহিতদের ওপর। তবে সেটা নিয়ে সেভাবে চিন্তিত নন অধিনায়ক। তিনি বলেন বাইরে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে ভেবে কাজ নেই। মাঠে গিয়ে ঠিক করে খেলতে হবে। পিচ কেমন, সেই অনুযায়ী কেমন কম্বিনেশন প্রয়োজন, সেসবের ওপর তিনি বেশি জোর দিচ্ছেন বলℱে জানান রোহিত। প্রসঙ্গত, এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত যাচ༒্ছেন না। কোনও কিছু পোস্ট করার থাকলে তাঁর স্ত্রী রিতিকা সেটা করে দিচ্ছেন। আফগান ম্যাচে অনবদ্য খেলার পর যারা বাহবা করছেন তারাই পরের ম্যাচ হারলে যে ধিক্কার দেবেন, সেটা ভালোই জানেন রোহিত। সেই জন্যই বোধহয় একেবারে সোশ্যাল মিডিয়া ডিটক্সে চলে গিয়েছেন তিনি।