শুভব্রত মুখার্জি: রবিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ভারতীয় দল তাদের তৃতীয় শিরোপা জিতবে, এই আশাতে বুক বেঁধেছিল গোটা দেশ। ১৩০ কোটি ভারতীয়ের হৃদয় ভেঙে দিয়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত ১ লক্ষ ২০ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে দিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা জিতেছে অজি দল। স্বাভাবিক ভাবেই হারের হতাশায় মন ভেঙে গিয়ে কোটি কোটি ভারতীয়ের।রবিবার ফাইনাল খেলা থাকায়, সকলেই ছুটির মেজাজে ফাইনাল দেখতে বসেছিলেন। কিন্তু হারের হতাশা সঙ্গী করে পরের দিন অর্থাৎ সোমবার অফিসে যোগ দিয়ে কাজ করাটা সত্যিই সহজ হত না ভারতীয়দের পক্ষে। আর সে কথা মাথায় রেখেই ꧒অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে গুরুগ্রামের এক প্রাইভেট কোম্পানি। ফাইনালে ভারতের হারের হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সোমবারও ছুটি দেওয়া হয়েছে সমস্ত কর্মচারীকে।
আরও পড়ুন: অজিরা চ্যাম্পিয়ন হলেও,কামিন্সদের চেয়ে রোহিতরা কিন্তু বেশি আর্থিক পুরস্কার পে🉐য়েছেন, অঙ্কটা জানলে চমক𒀰ে যাবেন
একদিনের ছুটি দিয়ে কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে, হারের হতাশা কাটিয়ে যাতে মঙ্গলবার পুরোদমে সকলে কাজ শুরু করতে পারে, সেকথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফাইনালে হারের পরে গু🎐রুগ্রামের মার্কেটিং মুভস নামক ওই কোম্পানির এক কর্মী দীক্ষা গুপ্তা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট লিঙ্কডইনে লেখেন, ‘আজকে সকালে উঠে আমি আমার বসের কাছ থেকে একটি মেসেজ পাই। যেখানে লেখা হয় হারে🍨র (ফাইনালে ভারতের হার ) হতাশা কাটাতে একদিনের ছুটি সকল কর্মচারীকে কোম্পানির তরফ থেকে দেওয়া হচ্ছে। এই সারপ্রাইজটা আমরা কেউ বিশ্বাস করে উঠতে পারিনি। আমাদের কাছে অফিসিয়াল ইমেল আসার পরেই ব্যাপারটা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়।’
আর পড়ুন: রোহিত বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ভাগা মানুষ- ভারত অধিনায়কের জন্য মর্মাহত ম্যাচ๊ উইন𒀰ার হেড
দীক্ষা তাঁর বস চিরাগ আলাওয়াদি যে ছুটির মেসেজটি পাঠিয়েছেন তার স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘হাই টিম। বিশ্বকাপ🌃ের ফাইনালে ভারতের হারের প্রভাবটা আমাদের কর্মীদের উপর কতটা পড়েছে, তা আমরা বুঝতে পারি। এই কঠিন সময়ে সমস্ত কর্মচারীদের কিছুটা সহায়তা করতে কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে একদিনের ছুটি সকলকে দেওয়ার। আমি বিশ্বাস করি এই ছুটি সকলকে হতাশা কাটিয়ে নিজেদের ফর্মে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত, আমরা আরও দৃঢ়ভাবে ফিরে আসব।’
প্রসঙ্গত, ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায়। বিরাট কোহলি ৫৪ ,রোহিত শর্মা ৪৭ এবং কেএল রাহুলের ৬৬ ছাড়া আর বলার মতন রান পাননি কোনও ব্যাটার। অন্য দিকে রান তাড়া করতে নেমে ট্র্যাভিস হেডের অনবদ্য ১৩৭ রানের ইনিংসে ভর ক🐠রে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে নিজেদের ষষ্ঠ জয় নিশ্চিত করেন প্যাট কামিন্সরা।