মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রথম সেমিফাইনালের পিচ বদল নিয়ে বিতর্কের রেশ এখনও চলছে। এর মাঝে𒐪ই আমদাবাদের পিচ নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ যে পিচে খেলা হয়েছিল, সেখানেই হবে ফাইনাল।
ম্যাচের আগে সংবাদিক সম্মেলনে পিচ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। সেই প্রশ্নের উত্তরে কামিন্স স্পষ্ট করে দিয়েছেন পিচ বা টস নিয়ে তিনি ভাবছেনই না। টস জিতলেন নাকি জিতলেন না, পিচের ব্যাটরাಞর সুবিধে পাবেন, নাকি বোলাররা, সেই তাঁর কাছে কোনও বিষয় নয়। কারণ অস্ট্রেলিয়া সব পরিস্থিতির জন্যই তৈরি।
সংবাদিক সম্মেলনে কামিন্সকে প্রথম প্রশ্নটিই করা হয় পিচ নিয়ে। পিচ কি দেখেছেন আপনি? এই প্রশ্নের উত্তরটা সংক্ষেপে 𒅌শেষ করেন কামিন্স। বলেন, ‘হ্যাঁ, একবার দেখেছি।’ এর পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেমন দেখলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কামিন্স বলেন, ‘আমি পিচ খুব বেশি ভালো বুঝি না। কিন্তু বেশ শক্ত লেগেছে। ওরা স্রেফ জল দিয়েছে। তাই আরও ২৪ ঘণ্টা না গেলে বোঝা যাবে না। এমনিতে দেখে মনে হচ্ছে উইকেটটা ভালো।’
ন🅺িউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের সেমিফাইনালটি হওয়ার কথা ছিল নতুন পিচে, সেটি বদলে খেলা হয়েছে পুরোনো পিচে- বিতর্কটা এই নিয়েই। এই কারণেই হয়তো কামিন্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পিচ দেখে কী মনে হয়েছে, আগে কি এটা ব্যবহার করা হয়েছে? কামিন্স বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয়, এর আগে এখানে পাকিস্তান কারও বিপক্ষে খেলেছে।’ বিশ্বকাপে আমদাবাদে একটিই ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। সেটি ভারতের বিরুদ্ধে। কামিন্স অবশ্য মুখে ভারতের নাম করেননি।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া খেলেছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। সেখানকার পিচে খুব বেশি রান ছিল না। সেই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২ꩲ১২ রানে অলআউট করে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া💝 জিতেছে ১৬ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল।
কলকাতার পিচ আর আমদাবাদের পিচের মধ্যে একটা পার্থক্য রয়েছে বলে দাবি করেছেন কামিন্স। অজি অধি﷽নায়ক বলেছেন, ‘মনে হয়, টুর্নামেন্ট জুড়েই এখানে একটু বেশি রান🎉 হয়েছে। এই উইকেট খুব ভালো।’
কোনও ম্যাচে পিচের ধরন কেমন হবে, তার গুরুত্ব কতটা? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে কামিন্স বলেন, ‘নিশ্চিত করেই এটা দুই দলের জন্য একই। তবে নিজের দেশে নিজেদের উইকেটে খেলার একটা সুবিধা অবশ্যই আছে। পুরো জীবনে এই একই উꦺইকেটে খেলছে ওরা। কিন্তু আমরাও এখানে অনেক ক্রিকেট খেলেছি। তাই দেখি, কী হয়।’
এর সঙ্গেই কামিন্স যোগ করেছেন, ‘আমার মনে হয়, এখানে টস গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমনটা মুম্বইয়ের ক্ষেত্র🃏ে বা অন্য ভেন্যু সম্পর্কে বলা হয়। তাই ওরা যে চ্যালেঞ্জই আমাদের দিক না কেন, আমরা সব কিছুরꦛ জন্য তৈরি থাকব। দেখি এর পর কী হয়। কিন্তু নিশ্চিত করেই আমাদের কিছু পরিকল্পনা থাকবে।’
তবে পিচ নিয়ে🏅 মুখে কিছু যায় আসে না বললেও, প্যাট কামিন্স কিন্তু এমন একটি কাজ করেছেন, যাতে তাঁরা যে কতটা চিন্তিত, সেটাꦐ ধরা পড়েছে। তাঁকে পিচের ছবি তুলে রাখতে দেখা গিয়েছে। ভারত যদি আবার পিচ বদল করে, তবে তার প্রমাণ রাখার জন্য সম্ভবত এই ছবি কামিন্স তুলে রেখেছেন। সঙ্গে টিম মিটিংয়েও কাজে লাগবে এই ছবি।