বিশ্বকাপের আগে প্রতিটি ম্যাচ কেন্দ্রে আইসিসির প্রতিনিধি দল একাধিকবার পরিদর্শনে গিয়েছে। প্রতিটি স্টেডিয়ামের পরিকাঠামো, সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্য সরেজমিনে খতিয়ে দেখেছেন বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিরাও। মাঠ, গ্যালারি, ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে মিডিয়া সেন্টার, জিম, কমেন্ট্রি বক্স পর্যন্ত সর্বত্রই যাতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগে, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার কথা আয়োজকদের। তবে এমন বজ্রআঁটুনির মধ্যেও যে ফস্কা গেরো থেকে🔴ই গিয়েছে, তার প্রমাণ হায়দরাবাদের উপ্পল।
ভারতের একাধিক স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার ছবি দেখা গিয়েছে অতীতে। তবে বিশ্বকাপের আগে তেমন কিছু 🤪দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নিতান্ত কম। কেননা আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের আগে সব স্টেডিয়ামকেই তাদের পরিকাঠানো ঢেলে সাজাতে হয়। মেরামত করতে হয় যাবতীয় ফাঁক-ফোকর। তবে হায়দারবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের আগাপাশতলা যে নিখুঁত নয়, সেটা বোঝা গেল আরও একবার।
ক'দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি সামনে আসে, যেখানে বিশ্বকাপের ওয়ার্ম আপ ম্যাচের আগে উপ্পলের অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরির কাজ করতে দেখা যায় মিস্ত্রিদের। শোনা যায় যে, শ🌳েষ মুহূর্তে নাকি অস্থায়ী টয়লেট তৈরির কাজ চলছে সেখানে। সেই খবরের যথার্থ নিয়ে সংশয় দূর হওয়ার আগেই এবার দেখা গেল গ্যালারির দুরবস্থার▨ ছবি।
মঙ্গলবার হায়দরাবাদে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। টিকিট কেটে সেই ম্যাচে খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে ঢোকা দর্শকদের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। কেননা গ্যালারির একাংশের বাকেট চেয়ার ছিল বসার আ🍸যোগ্য।
ভাঙাচোরা চেয়ার বদলে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা। তার উপর চেয়ারগুলি পরিষ্কার𒉰ও করে দেওয়া হয়নি। চূড়ান্ত অপিচ্ছন্ন সেই চেয়ারে পাখির বিষ্ঠা দেখে বোঝা যায় যে, দীর্ঘদিন সেখানে সাফাই অভিযা🍌ন চালানো হয়নি।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও টিকিটের༺ মূল্য নিতান্ত কম নয়। পকেটের পয়সা খরচ𓃲 করে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রাথমিক সুবিধাটুকুও না দিতে পারলে আয়োজকদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। এমন প্রশ্নও উঠতে পারে যে, বিশ্বকাপে উন্নতমানের সুযোগ-সুবিধা কি শুধুই ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রাপ্য? খেলোয়াড়দের যাঁরা উদ্দীপ্ত করবেন, সেই দর্শক স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে নজর দেওয়ার কি কোনও প্রয়োজন নেই?