দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘চোকার’ শব্দটি ভাইরাল হতে থাকে। প্রোটিয়ারা তাদের ২০২৩ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১২তম ওভারে ২৪ রানের মধ্যেই ৪ উইকে হারিয়েছিল। এরপরেই সকলে দক্ষিণ আফ্রিকার দলের সঙ্গে ‘চোকার’ শব্দটিকে মিলিয়ে দেন। প্রোটিয়ারা এটিকে🌠 পছন্দ করুক বা না করুক, ‘চোকার’ শব্দের ট্যাগটি কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লেগে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই ‘চোকার’ শব্দটি মুছে ফেলার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে, তবে তেম্বা বাভুমারা সেটি করতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচের পরে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ রব ওয়াল্টার অবশ্য এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন। ‘চোকার’ ট্যাগটি মানতে চাননি তিনি। ওয়াল্টার বলেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে চকিং মানে কী? আমার কাছে এর মানে হল একটি খেলা যেটি আপনি জেতার অবস্𝓰থানে ছিলেন এবং সেখান থেকে আপনি সেটা হেরেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আসলে প্রতিযোগিতায় ফিরে আসার জন্য আমরা লড়াই করেছিলাম এবং একটি স্কোর তৈরি করেছিলাম যা আমাদের একটি সুযোগ দিয়েছিল এবং তারপরে সেটিকে রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। সুতরাং, আমরা কীভাবে লড়াই করেছি এবং নিজেদেরকে গেমে ফিরিয়ে নিয়েছি, আমার জন্য, এটি একটি চোকার করার মতো কিছুই নয়। এটি শুধু দুটি ভালো দলের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা মাত্র।’
শুক্রবারের ফলাফলটি ছিল বিশ্বকাপে ক্লোজ লড়াইয়ের মধ্যে একটি। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুঃস্বপ্ন থাকবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৯৯ টাই সেমিফাইনালে, ২০০৩ DLS পরাজয়ের মতো দলে যোগদান যেখানে তারা ঘরের মাঠে টুর🅰্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছিল। গ্রুপ পর্বে, ২০০৭ সেমিফাইনালে এবং ২০১১ কোয়ার্টার ফাইনালে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল। ২০১৫ সেমিফাইনালে, তারা আবার নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে যায় যখন তারা ২০১৯ সালে নকআউট পর্যায়ে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়।
২০২৩ সালেও দক্ষিণ আফ্রিকার অভিশাপ অব্যাহত🐽 ছিল কারণ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রাথমিকভাবে ব্যাট দিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল এবং যখন তারা ডেভিড মিলারের সেঞ্চুরি এবং তাদের ♍স্পিনারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি সংগ্রহ করেছিল, তখন খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। বোর্ডে রান কম ছিল এবং অস্ট্রেলিয়া, কিছু ছোটখাটো হেঁচকির পরে, তাদের পুরানো শত্রুদের বিরুদ্ধে আরেকটি নকআউট জয় পায়।
এ দিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা ছিল খুবই খারাপ। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ৩ রান করেন, অধিনায়ক বাভুমা শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ডেভিড মিলার। ১০১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ২১৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া দল তিন উইকেটে ম্য়াচটি জিতে নেয়। তবে তাদের এই জয়ের জন্য অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ৪৭.২ ওভারে ম্যাচ জেতে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ট্র্যাভিস হেড করেন ৬২ রান, ডেভিড ওয়ার্নার ২৯ রানের 🃏ইনিংস খেলেন।