শুভব্রত মুখার্জি:- বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর আত্মিক যোগ দীর্ঘদিনের। ইডেন গার্ডেন্সের ২২ গজকে চেনেন হাতের তালুর মতন। তিনি ভারতীয় টেস্ট দলের হয়ে খেলা অন্যতম সেরা কিপার ব্যাটার। তিনি ঋদ্ধিম🔜ান সাহা।
দীর্ঘদিন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পর দুই মরশুম আগেই আদরের বাংলা ছেড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরাতে। সিএবির এক কর্তার কথায় আঘাত পেয়ে একরাশ অভিমান নিয়ে বাংলা ছেড়েছি✃লেন তিনি। আপাতত সেইসব মান অভিমানের পালা অতীত। তিনি বর্তমানে ফিরে এসেছেন বাংলাতে। বাংলার হয়ে ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা যাবে তাঁকে।
আসন্ন মরশুম শুরুর আগেই তিনি তাঁর কেরিয়ার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা-সহ নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন। সোমবার সন্ধ্যা✅য় ইডেন গার্ডেন্সে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বয়স বাড়লেও বাংলার প্রয়োজনে তিনি তিন ফর্ম্যাটেই খেলতে প্রস্তুত।
সোমবার সন্ধ্যায় ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত হয় এক সাংবাদিক সম্মেলনের। বিসি রায় ক্লাব হাউসের তিন তলার কনফারেন্স হলে বাংলায় ফেরার অফিসিয়াল ঘোষণা করেন তিনি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনেও উপস্থিত হন এক বিশেষ অর্থবহ বার্তার টুপি পড়ে। যেখানে লেখা ছিল 'নেভার গিভ আ♔প' অর্থাৎ হাল না ছাড়ার 🍸বার্তা লেখা ছিল তাতে।
ঋদ্ধিমান মানেই যেন বা🙈র্তার মূর্ত প্রতীক। তাঁর উইকেটকিপিং দক্ষতা প্রশ্নাতীত। অসম্ভব ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ক্যাচ হোক বা স্ট্যাম্পিং বা রান আউট, তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ভক্তরা এই কারণেই তাঁর নামও দিয়েছিল 🐟'সুপার ম্যান' ঋদ্ধিমান।
আসন্ন ঘরোয়া মরশুম শুরুর আগেই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন। বয়স প্রায় ৪০ ছুঁই ছুঁই। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় এবং সচিব নরেশ ওঝা। ঋদ্ধিমান সাহা একা নন, তাঁর পাশাপাশি আরেক বাঁহাতি ব্যাটার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ও এই মরশুমে ত্রিপুরার বদলে বাংলার হয়েই ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে♏ন। সোমবার তা অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হল।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যেহেতু বয়স ৪০ বছর তবে তিনি কি তিন ফর্ম্যাটেই খেলতে পারবেন? যার সরাসরি উত্তর দিয়েছেন, ‘এটা ঠিকই যে আমার বয়স ৪০ ছুঁই ছুঁই। তবে আমার দলের প্রয়োজনে তিন ফর্ম্যাটেই আ🉐মি খেলতে প্রস্তুত। দলের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বোলিং কোচ শিবশঙ্কর পালদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং পাশাপাশি আমার শরীর বুঝে আমি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আমার রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফি জেতার জন্য সর্বস্ব দিয়ে আমি ঝাঁপাব।’
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, 'যদি মনে হয় অভিষেকে😼র কেরিয়𝓡ারের জন্য ও উইকেটকিপিং করলে ভাল হয়, তাহলে ওই কিপিং করবে। আমি দলের জন্য ব্যাটার হিসাবে খেলব।'