বিধানসভা নির্বাচনের আগে ধস নামল রাজস্থান কংগ্রেসে। বিজেপিতে যোগ দিলেন কংগ্রেসের বহু নেতা। কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী রাম গোপাল বৈরওয়া, প্রাক্তন বিধায়ক অশোক তানওয়ার সহ আরও অনেক কংগ্রেস নেতা বিজেপিতে যোগদান করলেন। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের আগে ধাক্কা খেল রাজস্থানের কংগ্রেস। জয়পুরে রাজ্য বিজেপির কার্যালয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সিপি জোশী এবং সাংﷺসদ রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরের উপস্থিতিতে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ৫০ বছরে ৩০ বার হেরেছেন, তবু ভোট𓆏ে দাঁড়ান এই মনরেগা শ্রমিক, ক༺ী কারণে?
এদিন পদ্ম শিবিরের যোগ দেওয়ার পরে তাঁদের স্বাগত জানান বিজেপি নেতারা। সিপি জোশী স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এবার আমরা রাজস্থানকে কংগ্রেস মুক্ত করব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপিতে বিশ্বাস রাখার জন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’ প্রসঙ্গত, হরিয়ানা কংগ্রেসের প্রধান ছিলেন তানওয়ার🍨। ২০১৯ সালে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেন। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিজের দল ‘আপনা ভারত মোর্চা’ তৈরি করেছিলেন। এরপর তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। গত চার বছর ধরে তিনি লাগাতার দল পরিবর্তন করে আসছেন। রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের যুব নেতা থাকার সময় তাঁর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন তানওয়ার। ২০০৯ সালে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে হরিয়ানার সিরসা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন। যদিও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরেছিলেন। এছাড়াও, দৌসায় কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনোদ শর্মাও ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০-সদস্যের রাজস্থান বিধানসভার নির্বাচন রয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর। ভোট গণনা হবে ৩ ডিসেম্বর। রাজস্থানে মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষ হয়েছে ৯ নভেম্বর। ২০১৮ সালের বিধানসভা নি♈র্বাচনে কংগ্রেস ১০০টি আসন জিতেছিল। অন্যদিকে, বিজেপি ৭৩টি আসনে জয় লাভ করেছিল। এছাড়া, বিএসপি পেয়েছিল ৬ টি আসন পেয়েছে। ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এবং ভারতীয় ট্রাইবাল পার্টি (বিটিপি) ২টি করে আসন পেয়েছিল। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি (আরএলপি) ৩টি আসন সংগ্রহ করেছে। নির্দল হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন ১৩ প্রার্থী। রাষ্ট্রীয় লোক দল (আএলডি) মাত্র একটি আসন দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস এবং বিজেপির কাছে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এরপর আগামী বছরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন।