রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে বিজেপি বরাবরই বিরোধীদের আক্রমণ করে থাকে। এবার সেই বিজেপির বিরুদ্ধেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের তিনজনꦉ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নেতার আত্মীয়কে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এরফলে রাজ্য নেতাদের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
যে সমস্ত প্রাক্তন মন্ত্রী নেতাদের আত্মীয়দের টিকিট দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-মীরা মুন্ডা, বাবুলাল সোরেন, পূর🦄্ণিমা দাস, শত্রুঘ্ন মাহতো, রোশন লাল চৌধুরী এবং রাগিনী সিং। এরমধ্যে মীরা মুন্ডা হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার স্ত্রী। বাবুলাল সোরেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেনের ছেলে। পূর্ণিমা দাস প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের পুত্রবধূ। শত্রুঘ্ন মাহতো বিজেপি সাংসদ দুল্লু মাহতোর ভাই। রোশন লাল চৌধুরী হলেন চন্দ্র প্রকাশ চৌধুরীর ভাই এবং রাগিনী সিং হলেন প্রাক্তন বিধায়ক সঞ্জীব সিংয়ের স্ত্রী।
এছাড়াও, বিজেপি বেশ কয়েকজন নেতাকেও টিকিট দিয়েছে যারা অন্যান্য দল যোগ দিয়েছেন আবার যারা গত লোকসভা নির্বাচনে হেরেছিলেন তাদেরকেউ টিকিট দিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন সীতা সোরেন। তিনি জেএমএম নেতা শিবু সোরেনের পুত্রবধূ এবং 🐼লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁকে জামতাদা থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সীতা লোকসভা নির্বাচনে জেএমএম প্রার্থী নলিন সোরেনের কাছে হেরেছিলেন। একইভাবে, সমীর ওরাওঁ এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মধু কোডার স্ত্রী গীতা কোডাকেও লোকসভা নির্বাচনে হেরে সত্ত্বেও বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হয়েছে।
বেশ কিছু নেতা যারা সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন চম্পাই সোরেনের ঘনিষ্ঠ লবিন হেমব্রম। প্রাক্তন এনসিপি নেতা কমলেশ সিং, প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা মঞ্জু দেবী এবং সানি টপ্পোও বিজেপির টিকিট পেয়েছে। এর ফলে বিজেপির অন্যান্য নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ড বিজেপি রাজ্য ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সন্দীপ ভার্মা দলের নেতৃত্বকে টিকিট বন্টন পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন। কেন চম্পাই সোরেন এবং তাঁর ছেলে উভয়কেই বিজেপি টিকিট দিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।তবে অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সহ ইনচার্জ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন,�� টিকিট বিতরণ নিয়ে ⛎দলের মধ্যে কোনও অসন্তোষ নেই। তিনি পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।