রবিবার অসমে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে গিয়ে তিনি জানান, ত্রিপাক্ষিক শান্তি চুক্তি সই হয়েছিল এক বছর আগে। আর বড়ো শান্তি চুক্তির ফলে বোড়োদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার পাশাপাশি ভাষা ও ভূমির অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে। আসলে শনিবার শিবসাগর জেলার জেরাঙাপাথারে ১ লাখ ৬ হাজার ‘ভূমিহীন’ ভূমিপুত্রদের জমির দলিল প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে অসমের জনগণের জন্য গভীর ভালবাসা প্রকাশ করে বার্তাও দেন মোদী। রবিবার সবার প্রথমে কোকরাঝাড়ে বোড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিলের প্রথম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে অংশ নেন শাহ।কোকড়াঝাড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বোড়ো এলাকায় শান্তি ফিরে এসেছে। এখানে খুনোখুনি ও অপহরণের মতো ঘটনায় মানুষ অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে আমি কথা দিচ্ছি, কয়েক বছরের মধ্যে এই এলাকাই অসমের সবচেয়ে উন্নত এলাকায় পরিণত হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ করা হয়েছে। আর গত বছর যে প্রতিশ্রুতিগুলি দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার।’এদিকে ২০২১ সালে অসম, কেরল, তামিলনাড়ু–সহ একাধিক রাজ্যের নির্বাচনের জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। এইসব রাজ্যের মধ্যে অসমে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এই রাজ্যে নিজেদের ক্ষমতা আরও দীর্ঘায়িত করতে মরিয়া গেরুযা শিবির। আগামী এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি বোহাগ বিহু অর্থাৎ অসমিয়া নববর্ষের সময় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে অসমের রাজনৈতিক দলগুলি। ১২৬ আসনের অসম বিধানসভা নির্বাচনে এবার ফের ক্ষমতায় আসতে মরিযা গেরুয়া শিবির। তাই বাংলার মতো প্রতি মাসে অসম সফরে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে মনে করা হচ্ছে।অন্যদিকে এই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেয়াল, হেমন্ত বিশ্বশর্মা, অসম বিজেপির রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস–সহ অন্যান্যরা। তবে অসম ভোটে বিজেপির সবচেয়ে মাথাব্যথার কারণ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর এক বছর পূর্ণ হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের। ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সিএএ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গুয়াহাটি। বিতর্কিত আইনটির বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান অসংখ্য মানুষ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে গুলি চালায় পুলিশ। যাতে স্যাম স্ট্যাফোর্ড নামে এক নাবালক–সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে সেই সব বিতর্ক পেছনে ফেলে এখন অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে অসমের রাজনীতি। রবিবার নলবাড়িতে নির্বাচনী পদযাত্রা করে দিল্লি ফেরেন শাহ।