প্রার্থী তালিকায় জায়গা হয়নি। তাই কেঁদেই ভাসালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। যা নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ–প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। এবার সামাজিক মাধ্যমে রাজনৈতিক নেতার কান্নাকাটির ঘটনা দেখল নেটদুনিয়া। চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের ক্ষীরপাই শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ। তার নামেই রয়েছে ফেসবুকে, তাপস ঘোষ ফ্যান ক্লাব। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার সেখানে কেঁদে ভাসালেন এই তৃণমূল নেতা।শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ক্ষীরপাই শহরের সভাপতি তাপস ঘোষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। পাশাপাশি দল ছেড়ে কর্মজগতে প্রবেশ করার কথাও শুনিয়েছেন তিনি। সেই ফেসবুক লাইভ রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দলের প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম থাকবে বলেই আশাবাদী ছিলেন যুব সভাপতি তাপস ঘোষ। এমনটাই তার ফেসবুক লাইভের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়েছে। আর বিপরীত পরিস্থিতি থেকেই এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করছেন অনেকে। ঠিক কী বলেছেন তাপস ঘোষ? ফেসবুক লাইভে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। আমার অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। আমি দীর্ঘদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দায়িত্বে ছিলাম। একের পর এক নির্বাচনে দলের কাজ করেছি। দলকে বাঁচিয়ে আমি এখন অসহায়। সিপিআইএম, বিজেপির দালালরা তৃণমূল কংগ্রেস করে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু আজ আমরা কুকুরে পরিণত হয়েছি। আমার টাকা নেই বলে আমি টিকিট পেলাম না। আগামী দিনে দলের পাশে থাকতে পারব না। কারণ আমাকে কর্মজগতে প্রবেশ করতে হবে। পরিবারকে দেখতে হবে। দল ভাল থাকুক। আর আমার যারা খারাপ চায়, তারা যেন মারা যায়।’কে এই তাপস ঘোষ? দলীয় সূত্রে খবর, ক্ষীরপাই শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ। ক্ষীরপাই পৌরসভার বাসিন্দা। পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। চন্দ্রকোনা ১ ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পদে ছিলেন তাপস ঘোষ। ফেসবুক লাইভে তাঁকে কাঁদতেও দেখা যায়। দেখা যায় চোখের জল মুছতেও।