পুরভোট শুরু হতেই সকাল থেকে একের পর এক উত্তেজনার খবর আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সকালে সোনারপুরে ভোটগ্রহণ ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। সেখানে রাজপুর বিদ্যানিধি হাই স্কুলের বুথ থেকে সিপিআই (এম) পোলিং এজেন্টকে মারধরের ঘটনা ঘটে যায়। পরে বিরোধীদলের কর্মীরা এসে সেখানে ইভিএম-এ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এদিকে, ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় তপ্ত বারাসত।বারাসতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্যামলী দাসের বিরুদ্ধে ইভিএম আছাড় মেরে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা শ্যামলী দাসের অভিযোগ সেখানে বহিরাগতদের প্রবেশ হচ্ছিল। ভোটগ্রহণে ব্যাপক অনিয়ম চলছিল বলে তিনি ক্ষোভের জেরে ইভিএম ভেঙে দেন। ঘটনার পরই স্থানীয়রা বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। মুহূর্তে সেখানে ছুটে আসে পুলিশ। তবে পরিস্থিতি ক্রমেই অশান্ত হতে থাকে। শ্যামলী দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বুথে ঢুকে আছড়ে ভেঙে দেন ইভিএম মেশিন। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুরের ২২ নম্বর ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ শুরুর পর ১ ঘণ্টা সময় ধরে বিকল হয়ে যায় ইভিএম মেশিন। সেখানে ইভিএম মেশিন প্রথমে খারাপ থাকলেও, পরে তারা সারাই করা হলেও তা ফের বিকল হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বিরক্ত হতে থাকেন বহু ভোটার। এদিকে, সকাল থেকেই ভোট ঘিরে তপ্ত অর্জুনগড় ভাটপাড়া। সেখানে ৯ নম্বর ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকিনাড়া ২০ নম্বর নিউ কর্ড রোডের শ্রী গান্ধী বিদ্যাপীঠ স্কুলে। এছাড়াও বসিরহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।