রাজ্যে এখন ﷽পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। সব ঠিক থাকলে ৮ জুলাই গ্রামবাংলা জুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর তাই সব রাজনৈতিক দলই প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে। তৃণমূল কং☂গ্রেস নেতা–নেত্রীরা বড় ইস্যু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের আটকে রাখা একশো দিনের কাজের টাকা। বিরোধীরা দুর্নীতি নিয়ে সরব হচ্ছেন। আর শাসকদল উন্নয়নকে সামনে রেখে ভোট চাইছেন। এই আবহে ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না কেন? বলে প্রশ্ন তুলে বুধবার বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন।
এই ঘটনায় তিনি হতচকিত হয়ে পড়েন। গ্রামের মানুষজন দুর্নীতি নিয়ে ভাবতে নারাজ তা তিনি টের পেয়ে যান। এমনকী প্রাপ্য টাকা না পাওয়া নিয়েই তাঁদের গরজ বেশি সেটা নিজের চোখে দেখতে পান। গ্রামের মহিলারা এমন প্রশ্ไন তুলে বিক্ষোভ দেখানোয় অস্বস্তিতে পড়েন ভারতী ঘোষ। দাসপুর বিধানসভা এলাকার চাঁদপুর, কল্মিজোড়, পাইকান, কুঞ্জপুর এবং নানা গ্রামে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যান বিজেপি নেত্রী। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ দলের টুপি ভোটারদের হাতে তুলে দিতেই চাঁদপুরের এক মহিলা ভোটার ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাছে ভোট চাইতে এসেছেন? আগে আমাদের জবকার্ডের প্রাপ্য টাকার ব্যবস্থা করুন। রোদে পুড়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা ১০০ দিনের কাজ করেছি। সেই টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে রেখেছে। ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি না কেন? এ♒সব প্রশ্নের উত্তর দিন।’
এদিকে বা🔯ংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নেমেই ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা নিয়ে সরব হয়েছেন। এমনকী আগেও একাধিকবার তিনি গরিব মানুষের টাকা ছেড়ে দিতে সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন। রাস্তায় ধরনায় বসেছেন। চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। এবার সেই টাকা ছিনিয়ে আনার বার্তা দিয়েছেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের পর দিল্লি চলো অভিযান হবে বলে ডাক দিয়েছেন। সেখান থেকে একশো দিনের কাজের টাকা ছিনিয়ে আনা হবে বলে প্রচারে এসে মানুষজনকে জানিয়েছেন। সুতরাং গ্রামবাংলারꦺ মানুষের কাছে একশো দিনের কাজের টাকা একটা বড় ফ্যাক্টর। এবার এই ইস্যু ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার কাছ থেকে সরছে পুলিশের মামলা, ব🦂দলের হাওয়া কলকাতা হাইকোর্টে
ঠিক কী করলেন বিজেপি নেত্রী? অন্যদিকে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে তিনি জনতার থেকে আসা প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন। আর সব দোষটা ঘুরিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। উলটে গ্রামীণ মানুষকে ভারতী ঘোষ বলেন, ‘বিজেপি তো রাজ্যে ক্ষমতায় নেই। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব পাচ্ছে না। রাস্তা, বাড়ি, পানীয় জল, স্বাস্থ্য–সহ নানা প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রচুর টাকা পাঠাচ্ছে। কিন্তু তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে না। গ্রামের উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠানো হয়েছে। গ্রামের মানুষ তা পায়নি। তাহলে ওই টাকা কোথায় গেল? তাই তৃণমূল কংগ্রেসের মতো চোরকে ক্ষম🐻তায় নিয়ে আসবেন না।’ এই কথা শুনে হতাশ হলেন গ্রামবাংলার মানুষজন।