পঞ্চায়েত ভোটে বহু বুথ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণত স্কুল, মাদ্রাসা বা কলেজকে ভোটগ্রহণের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে পঞ্চায়েত ভোটে এই সমস্ত স্কুল, মাদ্রাসাগুলির চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও প্রতিবার নির্বাচন আসলেই বুথে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে থাকে। এবার পঞ্চায়েত ভোটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভোটপর্ব শেষ হলেই স্কুল চালু হবে। তাই স্কুলগুলিতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলার ফলে যে ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স🅺 অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের তরফে এই দাবি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুকুর থেকে 🦹উদ্ধার হল ব্যালট বাক্স, RSP-র বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ TMC-র
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য, সাধারণত নির্বাচনের কাজে স্কুল এবং মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করা হয়। নির্বাচনের সময় স্কুল বন্ধ রেখে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটপর্ব মিটতেই আবার স্কুল, মাদ্রসা খুলে যায়। কিন্তু ভোটগ্রহণ পর্বে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে স্কুলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এবারও পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহু স্কুলে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে চেয়ার, টে♒বিল, বেঞ্চ এবং অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙা হয়েছে।
তাঁর অভিযোগ, প্রতিবার নির্বাচনে এরকম ক্ষতি হয়ে থাকে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা পূরণ করা হয় না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও ক্ষতিপূরণ করার ব্যবস্থা করে না। কোথাও আবেদন জাꦇনিয়ে কোনও সুরাহা মেলে না। ফলে ক্লাস করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পড়ুয়াদের। এর ফলে স্কুলে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হয়। এর জন্য রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দফতরকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা।
প্রসঙ্গত, শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলায়-জেলায় ঘটেছে হিংসার ঘটনা। বহু বুথের বা𒅌ইরে গুলি চালানো এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এমনকী বুথের ভিতরেও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া, বুথের চেয়ার, টেবি🐷ল, ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে। দলের এজেন্টদের মারধর করার পাশাপাশি পোলিং অফিসারদেরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে হিংসার ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারে। দিনহাটার অচিনতলায় ১৮০ ও ১৮১ নম্বর বুথে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ব্যালট বক্সে আগুন ধরানোর অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও অন্যান্য জেলার বহু বুথেও এদিন একই ছবি দেখা যায়।