শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকꦡে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিভিন্ন এলাকা। বহু বুথে চলেছে দুই পক্ষের রাজনৈতিক সংঘর্ষ। রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন অনেকেই। যার মধ্যে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে। ভোটের দিন বেলা বাড়তেই দুই জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। প্রাণহানির সংখ্যায় কার্যত একে অপরকে টক্কর দিয়েছে এই দুই জেলা।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ, ফের ভোটগ্রহণের দাবিতে চাকু🎃লিয়ায় জ্বলল গাড়ি
পঞ্চায়েত ভোটের আগের রাত থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ। শুক্রবার রাতে সেখানে দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী গণেশ সরকারের। বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথার পিছনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তার জেরে গণেশের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। তুফানগঞ্জের এসডিপিও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃত♔ীরা এই খুন করেছে। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।
একই ছবি দেখা গিয়েছে কোচবিহারের ফলিমারিতে। সেখানেও শুক্রবার রাতভর চলে বোমাবাজি। সকালেও সেখানে বোমাবাজি হয়। বিজেপির অভিযোগ, বুথে ব্যালট পরীক্ষা করার সময় বহিরাগতরা বোমাবাজি করতে করতে ভিতরে ঢুকে পড়ে। তাঁরা বিজেপির এজেন্ট মাধব বিশ্বাসকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। 🅺ঘটনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গুলিবিদ্ধ মাধব।
বিজেপির দাবি, তৃণমূল হেরে যাওয়ার ভয়ে দুষ্কৃতী নিয়ে এসে হামলা চালায়। যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারের দিনহাটাতেও দফায়-দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান চিরঞ্জিত কারজি। যদিও বিজেপি এবং তৃণমূল দুই দলই চিরঞ্জিতকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে। তবে জানা গিয়েছে, ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ করছিলেন। সেইসময় উপস্থিত ছিলেন চিরঞ্জিত।ꦜ তখনই গুলি চলে। ঘটনার জেরে গুলি লাগে চিরঞ্জিতের। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার বিদ্যানন্দপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কর্মী এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। তাতে ১০ জন আহত হয়। পরে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থীর স্বামী মহম্মদ শাহেনশার মৃত্যু হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। যদিও কংগ্রেস তা অস্বীকার করেছে। এছ🍃াড়া গোয়ালপোখরের সাহাপুর পঞ্চায়েতে বোমা বিস্ফোরণ জমিরুদ্দিন নামে একজনের মৃত্যু হয়। হেমতাবাদে ঝোপ থেকে এক তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া এই দুই জেলার বিভিন্ন জায়গায় দিনভর হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ।