পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বার বার আদালতে ধাক্কা খাচ্ছে কমিশন। বুধবার হা🎀ইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৩ সালের ভোটে যে বাহিনী ছিল তার থেকে কম যেন না হয়। এরপরই কার্যত বৈঠকে বসে পড়েন কমিশনের কর্তারা। দফায় দফায় বৈঠক। প্রসঙ্গত ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছিল। তখন কেন্দ্রীয় বাহিনী আনতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কমিশনার মীরা পাণ্ডে। আর এবার বাহিনী যাতে না আসে তার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন।
তবে এবার ২০১৩ সালের থেকে যেন൲ কম না হয় বাহিনী তার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বিরোধী শিবির। কিন্তু এই নির্দেশের জেরে শাসক শিবি🀅রে অবশ্য অস্বস্তি চরমে। তবে এবার নির্বাচন কমিশনের অবস্থান কী হয় সেটাই দেখার।
তবে এদিন যখন রাজ্য নির্🌃বাচন কমিশনার রাজীব ෴সিনহা বেরোলেন তখন সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল হাইকোর্টের নির্দেশের পরে এবার কী করবে কমিশন?
তার উত্তরে গাড়িতে ওঠার আগে দাঁড়িয়ে পড়েন রাজীব সিনহা। এরপর বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ এখনও আমরা পাইনি। আমি সেটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। নির্দেশ আসুক। তারপর তা ভালো করে পড়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। জানিয়েছেন রাজীব সিনহা। তবে কি কমিশন আবার❀ সুপ্রিম কোর্টে যাবে? সেই প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই গাড়িতে চেপে পড়েন রাজীব সিনহা।
একরাশ সংশয়কে জিইয়ে রেখেই 🅠গাড়িতে চাপলেন নির্বাচন কমিশনার। এদিকে সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। ২২জেলায় ২২ কোম্পানি, সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৩র থেকে বাহিনী যেন কম না হয়।
তবে এদিন বাহিনী নিয়ে শুনানির সময় কমিশনকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম জানিয়ে দেন, বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, এত কিছুর পরে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করুন। কার্যত কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েই বিরাট প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি। সেই সঙ্গেই তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিলেন, কমিশনার যদি না পারেন তাহলে রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অন্য কাউকে নিয়ে আসবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। এখান থেকে ꦦএগুলো আশা করা যায় না। এত ঘটনার পরে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হলে তা দুর্ভাগ্যজনক হবে। জানিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কিন্তু এতকিছুর পরেও কি আবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে কমিশন? আবার কি বꩲাহিনী কমানোর জন্য আবেদন করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন?