পঞ্চায়েত ভোটে গোটা রাজ্য়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর নির্বাচন কমিশনের অবস্থান কী হবে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল বাংলা জুড়ে। তবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নিজেই সেই সংশয়ের অবসান ঘটালেন ।বিভিন্ন মহল থেকে মনে করা হচ্ছিল হয়তো এবার হাইকোর্টের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবে কমিশন। কিন্তু দিনের শেষে তেমন কিছু হল না। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেটা পালন করা হবে। অর্থাৎ আর হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আপাতত আর উচ্চ আদালতে যাচ্ছে না কমিশন। যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছে সেটাই মেনে নিচ্ছে কমিশন। অর্থাৎ হাইকোর্টের নির্দেশই কার্যকর করবে কমিশন।হাইকোর্ট এদিন কী নির্দেশ দিয়েছিল? হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল গোটা রাজ্য়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আবেদন করতে হবে । কমিশনের ভূমিকায় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কমিশনের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা প্রশংসনীয় নয় বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।এবার গোটা রাজ্য জুড়েই পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ আদালতের। এই রায়ের বাস্তবায়নের জন্য আরও দেরি করা হলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়তে পারে বলে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্দেশনামার কপি পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্য়ে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। আর তারপরই বাহিনী পাঠাতে হবে কেন্দ্রকে।তবে এর আগে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কিন্তু স্পর্শকাতর জায়গা কোনগুলি তার তালিকা ছিল না কমিশনের কাছে। সূত্রের খবর। এরপর বৃহস্পতিবার স্পষ্টতই কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, রাজ্য়ের সর্বত্র পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। কার্যত হাইকোর্টে জোর ধাক্কা খায় কমিশন। এদিকে ভাঙড়ে কার্যত মৃত্যুমিছিল। বোমা-গুলির লড়াই। আইএসএফ বনাম তৃণমূল। তার মধ্য়ে কড়া বিবৃতি জারি করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানিয়েছেন, নো ওয়ার্ডস, ওনলি অ্য়াকশন। কোনও কথা নয়, শুধু অ্য়াকশন। এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আরও কোনও আপত্তির জায়গায় যাচ্ছে না কমিশন। সেক্ষেত্রে এবার কতটা শান্তিপূর্ণ হবে পঞ্চায়েত ভোট সেটাই এখন দেখার।