পঞ্চায়েত ভোটে বেলাগাম হিংসা ও শাসকের ভোটলুঠের বদলা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নেবে বাংলার মানুষ। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এই ফলকে আমরা জনমতের প্রতিফলন হিস♐াবে ধরছি না। তবে বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীরা ভালো লড়াই করেছেন।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘মনোনয়ন থেকে গণনা পর্যন্ত নানা ভাবে ভোটলুঠ করেছে তৃণমূল। দিকে দিকে আমাদের প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এবার তৃণমূলের কাজ করার পদ্ধতি একটু বদলেছে। আগেরবার ব♕িনা প্রতিদ্বন্দিতাতেই সব আসন তারা দখল করে নিয়েছিল। এবার নানা ছুতোয় তারা গণনাকে꧒ন্দ্রে আসন দখল করছে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন গণনাকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের সই নেই বলে বিপুল পরিমান ব্যালট বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় যে সব আসনে টাই হয়েছে সেখানে একতরফা ভাবে টসে তৃণমূল জিতছে। বিজেপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির ভাগ্য কি এতই খারাপ?’
তাঁর অভিযোগ, ‘গণনাকেন্দ্রে পুলিশ ও তৃণমূল একজোট হয়ে কারচুপি করছে। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলপন෴্থী কিছু সরকারি কর্মচারী। যারা টাকা দꦰিয়ে ভোট পেয়েছেন।’
এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের 𒅌পর রাজ্যে বিজেপির অবস্থা আরও খারাপ হবে। তৃণমূলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শমীকবাবু বলেন, ‘প্রতি লোকসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল এই ধরণের কথা বলে। প্রথমে বলে আমাদেরই হবে প্রধানমন্ত্রী। তার পরে বলে আমরাই হব চালিকাশক্তি। তার পর ভোট 🌞যখন এসে যায় তখন যে যেখানে দাঁড়িয়ে। এইটুকু নিশ্চিত যে আমরা ২টো আসন রেখে দিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর যাতে লালকেল্লার সামনে বসতে সমস্যা না হয়, সেজন্য ২০২৪ সালে লালকেল্লার সামনে ২টো দর্শক আসন সংরক্ষিত’। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটলুঠের বদলা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নেবে বাংলার মানুষ’।