পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে রাজনৈতিক নেতাদের মুখে শুধুই কুকথার স্রোত। এবার কুকথা শোনা গেল সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষের মুখে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের জুতো মারার নিদান দিলেন। শতরূপ সোমবার পূর্ব বর্ধমানের রায়নার ২ নম্বর ব্লকের লোহাই বা𓆏জারে নির্বাচনী সভা করেন সিপিএম। তাতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শতরূপ ঘোষ। সেখানে তিনি তৃণমূল কর্মীদের জুতো মারার নিদান দেন। এরপরেই বিতর্কে জড়ান শতরূপ ঘোষ। এনিয়ে শতরূপের সমালোচনা করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: ‘আমি লজ্জিত’, কুণালকে ‘টেস্ট টিউব বꦛেবি’ বলে ‘ভুল’ স্বীকার শতরূপের
ঠিক কি বলেছেন শতরূপ ঘোষ?
লোহাই বাজারে নির্বাচনী সভায় যোগ দিয়ে শতরূপ বলেন, ‘তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করার চেষ্টা করবে। তৃণমূল যে ভাষাতে বোঝে তাদের সেই ভাষাতেই বোঝাতে হবে। ওদের থেকে পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে ঝাঁটা, আঁশবাটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন। পায়ে জুতো পরে তৃণমূলের দিকে যেমন দৌড়াতে হবে তেমনি দরকার হলে সেই পায়ের জুতো খুলেই ওদের মারতে হবে। তৃণমূল যেন একটি আসনও দখল করতে না পারে।’ এর পাশাপাশি কোথাও ভোটারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে কিনা বা টাকা দিয়ে ভোট কেনা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে পাহারাদারি করার বার্তা দেন শতরূপ ঘোষ। এদিনের জনসভায় তিনি তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকেও আক্রমণ🐠 করেন। তিনি বলেন, ‘আমি সভা করতে এসেছি। এখান থেকে সোজা বাড়ি যাব। কিন্তু, সায়নী ঘোষ কিছুদিন আগে জনসভা করতে এসেছিলেন। 💧তিনি জনসভা থেকে সোজা ইডি অফিসে গিয়েছিলেন। এরপরে হয়তো জনসভা থেকে তাঁকে সোজা জেলে যেতে হবে।’
একের পর এক দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন শতরূপ। তাছাড়া পঞ্চায়েতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেন সিপিএম নেতা। তাঁর বক্তব্য, পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধানরা লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করেছেন। দলের মন্ত্রীদের থেকেও তাঁরা বেশি দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ শতরূপের। এছাড়াও, বিডিও এবং পুলিশ অফিসাররা তৃণমূলের﷽ হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শতরূপ। এ নিয়ে তিনি বিডিও এবং পুলিশ অফিসারদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রায়নার প্রাক্তন বিধায়ক বাসুদেব খাঁ। তিনি বলেন, ‘৮ তারিখে আমরা বুথ পাহারা দিয়ে ভোটারদের নিয়ে যাব। সাধারণ মানুষরা যাতে ভোট দিতে পারেন এবং আগামী দিনে যাতে আমরা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
অন্যদিকে, শতরূপের এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তিনি বলেন, ‘মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের সভায় অপ্রিয় প্রশ্ন করায় গাংপুরে এক শিক্ষককে চড় মেরꦗেছিলেন এক সিপিএম কর্মী। ওই দলের নেতা জুতো মারতে বলবেন সেটাই স্বাভাবিক।’