রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কার গাফিলতিতে মোতায়েন হল না কেন্দ্রীয় বাহিনী, তা খুঁজে বার করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞনমের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, রাজ্যে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকী বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ ৫০ – ৫০ হারে মোতায়েন থাকবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরও রাজ্যে কোথাও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা পাওয়া যায়নি। গোটা ভোট হয়েছে বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করে। ওদিকে কমিশন জানিয়েছে ভোটের দিন পর্যন্ত রাজ্যে ৬৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছেছিল। যদিও তাদের তরফে মোট ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ৩২১ কোম্পানি বাহিনী সময় মতো পৌঁছলেও বাকি ৩২৯ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছেছে শেষ মুহূর্তে। তার পরও বাহিনীকে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন BSF-এর DIG. এমনকী জওয়ানদের গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা ছিল না বলেও অভিযোগ করেছে তারা।অধীরবাবুর দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে পর্যাপ্ত বাহিনী না পাঠিয়ে আদালত অবমাননা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর বাহিনী মোতায়েন না করে আদালত অবমাননা করেছে কমিশন। কার গাফিলতিতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হল না তা খুঁজে বার করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।এছাড়া পঞ্চায়েত ভোটে আহত ও নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন অধীরবাবু। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাদের মৃত্যু হয়েছে ও যাঁরা আহত হয়েছে তারা সবাই গরিব মানুষ। এদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত সরকার বা কমিশনের।