পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নিখোঁজ ভোটকর্মী। শনিবার রাতে নিখোঁজ হয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের জীবনতলা থানা এলাকার দক্ষিণ বাগমারির বাসিন্দা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সঞ্জয় সরদার। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাত ২টো নাগাদ ব্যালট বাক্স জমা দিয়ে বাড়িতে ফোন করেছিলেন সঞ্জয়। জানিয়েছিলেন ফিরছেন তিনি। কিন্তু রাত পেরিয়ে ভোর হলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। ফোনে সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি পরিবার। এর পর ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় সঞ্জয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন তাঁরা। ভোটকর্মীর নিখোঁজ হওয়ার খবর পৌঁছেছে কমিশনের কানেও।পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, পোলেরহাট ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ১০৭ নম্বর বুথে ভোটকর্মী হিসাবে গিয়েছিলেন সঞ্জয়বাবু। দিনভর ভোটগ্রহণের দায়িত্ব সামলে রাতে কাঁঠালিয়া হাই স্কুলে ভোটবাক্স জমা দেন তিনি। সব কাজ মিটিয়ে রাত ২টো নাগাদ এক সহকর্মীর ফোন থেকে বাড়িতে জানান, তাঁর ফোনের চার্জ ফুরিয়ে গিয়েছে। বাড়ি ফিরছেন তিনি।সকালের মধ্যে ফিরবেন ভেবে অপেক্ষায় বসে ছিলেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু বেলা বাড়লেও তিনি না ফেরায় উদ্বেগ বাড়ে। ফোনেও তাঁরা সঞ্জয়বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পর জীবনতলা থানায় যান তাঁরা। কিন্তু সঞ্জয়বাবু কাশীপুর থানা এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ায় তাঁদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর পর কাশীপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার।২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে বুথ থেকে নিখোঁজ হন ভোটকর্মী রাজকুমার রায়। পরে রেল লাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করে রেল লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভোটকর্মীরা। ঘটনার প্রায় ৩ বছর পর রাজকুমারের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।