পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের অন্দরে বিদ্রোহ ক💜রেছিলেন। কিন্তু তাতে দল সাড়া দেয়নি। তখন নিজের অনুগামীদের নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে দেন। আর শনিবার সকাল থেকে তাঁদের জেতাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তৃণমূল কংগ্রে⭕স বিধায়ক। রেজিনগর বিধানসভার নারকেলবাড়িতে নিজের বুথে প্রথম ভোট দেন। তারপর সারাদিন ফোনে অনুগামী কর্মীদের দিয়ে ভোট ময়দানে দাপালেন বিদ্রোহী তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর জিইয়ে রাখলেন দলবদলের। তবে ভোটের দিন অনুগামীদের জন্য মাংস–ভাতে ভূরিভোজের আয়োজন করেছিলেন। তাঁদের খাওয়াতে রান্না করা হল দু’কুইন্টাল মুরগির মাংস। প্রায় দেড় হাজার অনুগামী পাত পেড়ে বিধায়কের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজ খেলেন।
ঠিক কী বললেন বিধায়ক? পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন বেলডাঙা–২ ব্লকের নারকেলবাড়ি পঞ্চায়েতের ১৮১ নম্বর বুথের বাইরে বসেছিলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেখান থেকেই চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে বিধায়ক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘দল যদি আমাকে যোগ্য মর্যাদা দেয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুগামী 🔥হয়েই থাকব। আর 🀅তা না হলে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আইএসএফের মতো নিজেই পৃথক দল গড়ে দেখিয়ে দেব। প্রয়োজনে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে লড়াইয়ের ময়দানে নামব।’
কংগ্রেসে ফিরছেন না কেন? এই প্রশ্নেরও জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। এখন যাঁরা তৃণমূল থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন বা দল ছাড়ছেন তাঁরা কংগ্রেসে যাচ্ছেন। কিন্তু ভরতপুরের বিধায়ক বলেন, ‘দিল্লি থেকে কংগ্রেস, বিজেপিꦓর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আমার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করছেন। নানা অফার দিয়েছে। কিন্তু আমি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যানকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকাকালীন কংগ্রেসের চৌহদ্দি মাড়াব না। কিছু বিষয়ের বি🃏নিময়ে বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিতে চেয়েছে। আমি জবাব দিইনি।’ এসব বলেই তিনি ভোটের মনিটরিংয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ফোনে কর্মীদের নির্দেশ দিতে থাকেন। গাছের নীচে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে ঘিরে ছিলেন অনুগামীরা।
আরও পড়ুন: মৃত্যুꦓসংবাদ এলেও বেঁচে আছেন আজহার, বিধায়কের খবরে তোলপাড় বাসন্তী
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এখন যাঁরা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের সবাইকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এটাই এখন ঘাসফুল শিবিরের গাইডলাইন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এখন বহু নির্দলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আবার অনেকে নিজেরাই বেরিয়ে গিয়েছেন। ভরতপুর–২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে এবার নির্দল প্রার্থী হুমায়ুন অনুগামী মহম্মদ আ✤জহারউদ্দিন। জেলা পরিষদের ৬২ নম্বর আসন এখন হুমায়ুনের প্রেস্টিজ ফাইট। ২১ আসনের পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১জন এবং ১৬১টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ১২২ জন নিজের মনোনীত নির্দল প্রার্থী। ভরতপুর–১ ব্লকেও একই চিত্র। যদিও এই বিষয়ে দলের সভানেত্রী শাওনী সিংহরায় বলেন, ‘ওঁকে আর গুরুত্ব দিতে চাই না।’