গ🦩্রামবাংলা কার? এই প্রশ্নের নিষ্পত্তি করতে শুরু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনা। এই আবহে গণনার দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ভিড় জমাচ্ছিলেন নানা রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা লাঠি উঁচিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। ভিড় সরাতে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। ওই জমায়েতের মধ্যেই ছিলেন সামসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তাঁকে লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আজ, মঙ্গলবার সকালে নানা গণনাকেন্দ্রে শুরু হয় ভোটগণনা। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। রাজ্যের ২২টি জেলার গ্রামীণ মানুষজনের মতামত ব্যালট বাক্সে বন্দি। সেগুলি রয়েছে ৭৬৭টি স্ট্রংরুমে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ৩৩৯টি ভোট গণনাকেন্দ্রে সেই ব্যালট বাক্স খোলা শুরু হয়েছে।
এদিকে এই ভিড় সরাতে গিয়ে সামশেরগঞ্জের বিধায়ককেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তখন তাতে বাধা দেন বিধায়ক। আর সেই সময় লাঠির ঘা পড়ে তাঁর পিঠে বলে অভিযোগ। এই ঘটনা দেখার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ভোট গণনা কেন্দ্রগুলিতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ꦯগণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে কোনও জমায়েত করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রত্যেক কেন্দ্রে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। ৩৩৯টি কেন্দ্রে গণনার প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত, তার পর পঞ্চায়েত সমিতি এবং সব শেষে জেলা পরিষদের আসনে গণনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে এক জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান যখন বিধায়ককে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন বলেও অভিযোগ। তখন রাজ্য পুলিশের এক কর্মীকে বোঝাতে দেখা যায় জওয়ানকে। কিন্তু ওই জওয়ান কোনও কথা শোনেননি। একবার𓆉 ধাক্কা দেন বিধায়ককে। তারপর লাঠিও চালান বলে অভিযোগ। তবে গণনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১৪৪ ধারা জারি রাখা হয়েছে ভোট গণনাকেন্দ্রে। এমনকী গণনাকেন্দ্রে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। এক কোম্পানি আধাসেনা জওয়ানদের নিয়ে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রাখা হয়েছে। 𓆉স্পর্শকাতর এলাকাগুলির পাহারায় মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ।
আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল প্রার্থীকে রাস্তায় ফেলে মারধর, সিপিএম–বিজেপ🤡ি এজেন্টকে নিগ্রহ বর্ধমানে
আর কী জানা যাচ্ছে? এই ঘটনা নিয়ে বিধায়ক আমিরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি সেখানে এক পঞ্চায়েত প্রার্থীর এজেন্ট হিসাবে গিয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তা মানতে চাননি। গণনাকেন্দ্রের কাছে ভিড় করা যাবে না বলে আমাকে ওই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে♚ বলেন। তা নিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। তখনই ধাক্কা দেওয়া হয় আমাকে। প্রতিবাদ করলে লাঠিও চালায়।’ ৩৩৯টি ভোটগণনা কেন্দ্রে স্ট্রংরুমের সংখ্যা ৭৬৭। গণনাকক্ষের সংখ্যা ৩,৫৯৪। গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করবেন কাউন্টিং অফিসার। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের ফল ঘোষণা করবেন বিডিও। প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে একজন করে অফিসার আছেন।