পঞ্চায়েত নির্বাচন মিটতেই ফেরানো হল নন্দীগ্রাম থানার আইসি সুমন রায়🎃চৌধুরীকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে নন্দীগ্রাম থানার এই আইসিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছিল। এবার জেলা পুলিশের নির্দেশে, মঙ্গলবার মাঝরাতে আবার নন্দীগ্রাম থানার দায়িত্ব নিলেন সুমন রায়চৌধুরী। আর সুমন রায়চৌধুরীর জায়গায় আসা কাশীনাথ চৌধুরীকে ফেরানো হল তাঁর পুরনো জায়গা ডিআইবি’তে। ছুটিতে পাঠানো এবং এখন ফেরানো নিয়ে বিস্তর গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। যদিও এই নিয়ে পুলিশের কেউ মুখ খুলতে চাননি। ফলে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
এদিকে পঞ্চায়েতে নির্বাচনের ঠিক আগে নন্দীগ্রাম থানার আইসি বদল নিয়ে অনেকেই নানা কথা বলেছিলেন। আইসি সুমন রায়চৌধুরীর বদলে কাশীনাথ চৌধুরীকে নিয়ে আসতেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারচুপির বন্দোবস্ত শুরু হয়ে গেল। তখন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, শারীরিক অসুস্থতার জেরে ছুটি চেয়েছিলেন সুমনবাবু। তাই তাঁকে ১৫ দিনের জন্য ছুটি দেওয়া হ🌞য়েছে। কিন্তু দেখা ♎গেল ১৫ দিন না কাটতেই সুমনবাবু ফিরিয়ে আনা হল।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, এটা একপ্রকার শাস্তি দেওয়া হল। আইসি সুমন রায়চৌধুরী এখানে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। সেটা জানাজানি হতেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আবার নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের দারুণ ফলাফলের পর তা♒ঁকে ফিরিয়ে আনা হল। সুতরাং এখন সব ক্ষেত্রেই এই অফিসারকে তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের সঙ্গে কাজ করতে হবে। যা একপ্রকার শাস্তি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের অন্যতম হটস্পট নন্দীগ্রাম। সেখানেই বিরোধীদের কুপোকাত করা হয়েছে। ফলে চাপের মুখে পড়েছে স্বয়ং বিরোধী দলনেতা। এবার চাপে পড়লেন আইসি।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপালের উচিত পদ ছেড়ে চলে যাওয়া’, পঞ্চ𓆉ায়েতের ফলাফলের পরই আক্রমণ কুণালের
অন্যদিকে নন্দীগ্রামে মোট ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি ৯টি জিতেছে। ৭টি জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর ১টি প﷽ঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের লিড ১০ হাজার ৪৫৭ ভোট। সেটি টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে লেখেন, ‘লোডশেডিং চক্রান্তের জবাব। দেখ কেমন লাগে।’ তবে নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূল এবং বিজেপি যথাক্রমে ৩টি ও ২টি আসনে জিতেছে। সব মিলিয়ে যে বিরাট ব্যাপার দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতা তেমন কোনও আঁচড় পর্যন্ত দেখা যায়নি।