পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে গ্রামবাংলায় হিংসা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই নিয়ে তাঁরা শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ভিতরে গুন্ডাবাহিনী আছে বলেও অভিযোগ করেছেন। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার স্ট্রেট ব্যাটে বল ওভার বাউন্ডারি পাঠালেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শোভনদেব🌸 চট্টোপাধ্যায়। আর তাতেই এখন বিরোধীরা রে রে করে উঠেছেন। উনি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে জানতে চেয়েছেন, একটা রাজনৈতিক ꦰদল জানাক তাদের দলে গুন্ডা নেই। তাহলে তিনি সেখানে গিয়ে দারোয়ানি করবেন। এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য– রাজনীতিতে।
এদিকে হিংসা নিয়ে যখন বিরোধীরা কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বাড়ানো নিয়ে হত্যে দিচ্ছেন তখন একদিকে চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে সাফাই দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁর কথায়, ‘একটা দল বলুক, যে দলে একটাও মস্তান নেই। যে দল বলতে পারবে, তাদের অফিসে গিয়ে দারোয়ানি করব।’ খড়দার বিধ𝄹ায়ক তথা রাজ্যের এমন মন্তব্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বেনজির সন্ত্রাসের অভিযোগের মধ্য়েই এভাবেই সাফাই দিলেন শোভনদেব চট্ট꧑োপাধ্যায়।
হাতে আর বাকি ১০ দিন। তারপরই রাজ্যজুড়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আগামী ৮ জুলাই ভোট হওয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই মাঠে নেমে 𓃲পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। মনোনয়ন–পর্ব শেষ করেই সবাই প্রচারে ঝড় তুলছে। তখন বিরোধীদের তোলা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগের পাল্টা এভাবেই সপাটে জবাব দিলেন রাজ্যের পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর বিরোধীরা বলছেন এভাবে দলের খুঁত ঢাকার চেষ্টা করছেন তিনি। ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? রাজ্যের মন্ত্রী তথা খড়দার তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সরাসরি বলেন, ‘সব দলের মধ্যেই এই ধরনের মানুষ আছে। সব দলের এই অবস্থা। তবে শাসন ক্ষমতায় যারা থাকবে, তাদের দলে এই ধরনের মানুষ বেশি হবে। একটা দল বলুক, আমার দলে একটাও গুন্ডা–মস্তান নেই। সবাই ভাল। মাইকে বলুন সেটা। যে দল বলতে পারবে আমি তাদের দলের অফিসে গিয়ে দারোয়ানি করব।’
আরও পড়ুন: আবার রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ–জ♕েপি নড্ডা, এত দেরি করে কেন স𒁏ফর করবেন?
ঠিক কী বলছেন বিরোধীরা? এই মন্তব্যের পর আসরে নেমে পড়েছেন বিরোধী দলের নেতারা🅺। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এই সংস্কৃতি আমদানি করেছে তৃণম꧃ূল। গুন্ডাবাহিনী তৃণমূলই তৈরি করেছে।’ এই নিয়ে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের দারোয়ানের দরকার নেই। আমরা আমাদের দল সামলাতে পারব। আপনি নিজেদেরটা দেখুন।’ কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘উনি যে পার্টিতে সেটা পুরো গুন্ডাদের পার্টি। অন্য় পার্টির কথা ছেড়ে দিন। আগে নিজের পার্টি দেখুন। ওঁরা বলুক, আমাদের পার্টিতে গুন্ডা নেব না।’