হিমাচল প্রদেশ෴ের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন সুখবিন্দর সিং সুখু। তাঁর ডেপুটি হচ্ছেন বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। আ﷽গামিকাল (রবিবার) সকাল ১১ টায় তাঁরা শপথগ্রহণ করলেন বলে জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিমাচলে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ভূপেশ বাঘেল।
শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠ▨ানিকভাবে ঘোষণার পর ভাবী মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর বলেন, 'সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং রাজ্যের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। আমাদের সরকার পরিবর্তন নিয়ে আসবে। হিমাচল প্রদেশের মানুষের কা💝ছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা, তা পূরণ করা আমার দায়িত্ব। রাজ্যের উন্নয়নের জন্য আমাদের কাজে করতে হবে।'
বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে মূলত তিনজন ছিলেন - সুখবিন্দর, বিধানসভার প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী প্রতিভা। শেষপর্যন্ত ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা সুখবিন্দরকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মুকেশ। তারপর সুখবিন্দর বলেন, 'আমি এবং ভাবী উপ-মুখ্যমন্ত্রী মুকেশ অগ্নিহোত্রী একটা টিম হিসেবে💙 কাজ করব। ১ℱ৭ বছরে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম। কংগ্রেস আমার সঙ্গে যা করেছে, তা কখনও ভুলতে পারব না।'
সুখবিন্দর সিং সুখুর পরিচিতি
- হিমাচল প্রদেশের নাদৌন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবার জিতেছেন সুখবিন্দর। এবার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে নির্বাচন কমিটির প্রধান ছিলেন।
- দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে থাকায় স্থানীয় মানুষ এবং দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। তাঁর অনেক অনুগামীও আছেন।
- নাদৌনের বাসিন্দা সুখবিন্দরের আইনে ডিগ্রি আছে। পরবর্তীতে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন 'ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া'-তে যোগ দিয়েছিলেন।
- ১৯৮৯ সালে রাজ্য শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে শিমলা পুরনিগমে দু'বার কাউন্সিলরও হয়েছিলেন সুখবিন্দর।
- ২০০৮ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক হয়েছিলেন। সেইসময় ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিলেন। দলকে সামলানোর দক্ষতা এবং নেতা-কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার জন্য তাঁকে ২০১৩ সালে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছিল।