একশো পার হয়ে গিয়েছে। প্রথম দুই দফা মিলিয়ে এমনই ভবিষ্যদ্বানী করেছেন অমিত শাহ। আর লোকসভা নির্বাচনের দু’দফা শেষ হতেই বড় ভবিষ্যদ্বাণী করে বসলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের দাবি, ১৯০ আসনের মধ্যে ১০০ পার করে ফꦚেলবে এনডিএ। অথচ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকটি সভা থেকে বলছেন, বিজেপি ২০০ আসন পার করতে পারবে না। কিন্তু শাহের দাবি, বাংলা, অসম, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীশগড়, উত্তরাখণ্ড–সহ সব রাজ্যে বিজেপি সাফল্য পাবে। কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ুতেও বিজেপি দারুণ ভাল সাড়া পাচ্ছে। বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ চারশো পারের লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।
কিন্তু সত্যিই কি এমন ঘটবে? এমন প্রশ্ন এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে উঠতে শুরু করেছে। কংগ্রেস–সহ বিরোধী শিবিরের দাবি, অমিত শাহ বিজেপি কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এসব বলছেন। আসলে মোদী–শাহ চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন। এতদিন নরেন্দ্র মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে কী কাজ করবেন সেটা বলছিলেন। এখন তিনিই বলছেন, ইন্ডিয়া জোট সরকারে এলে পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী হবেন। অমিত শাহ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন, যদি ইন্ডিয়া জোট সরকারে আসে, তাহলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? সুত🍌রাং ইন্ডিয়া জোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখছেন মোদী–শাহই। তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এমন ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন। কিন্তু মেলেনি।
আরও পড়ুন: দ্রুত বাংলায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য দরকার, আবার কড়া নি𓃲র্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের পরেই নরেন্দ্র মোদী ধর্মীয় মেরুকরণের কৌশল নেন। নরেন্দ্র মোদী মুসলিম ইস্যুকে হাতিয়ার করেছেন। একের পর এক সভায় দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহার নিয়ে মুসলিম ইস্যুতে ত꧙ীব্র আক্রমণ করেছেন। আর তখনই বিরোধীরা দাবি করেন, প্রথম দফায় যে ১০২টি আসনে ভোট পড়েছে, তাতে ফল যে ভাল হবে না সেটা বুঝেই মোদী মেরুকরণের পথ নিয়েছেন। প্রথম দফার মতো দ্বিতীয় দফাতেও ৮৮টি আসনে ভোটের কম হার♏ বিজেপিকে চিন্তায় ফেলেছে। কারণ ভোট বেশি পড়লে সেটা যেত বিজেপির দিকে। আর ভোট কম পড়া মানে বিরোধীদের দিকে। এটাই বিজেপির ক্ষেত্রে ট্রেন্ড। তাই দুই দফায় ৬৬ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। যা ভাবাচ্ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে।
বিরোধীদের দাবি, এবার ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে পারবে না বিজেপি। ভোটে এবার কারচুপি ছাড়া বিজেপির জেতা অসম্ভব। কারণ প্রত্যেকটি রাজ্যে সমঝোতা হয়েছে। যে যেখানে শক্তিশালী। তাছাড়া আসন সমঝোতাও হয়েছে। বিজেপি বিরোধী হাওয়া দেশে বইতে শুরু করেছে। সুতরাং ২০০৪ সালের ঘটনা ঘটিয়ে দেবে জনগণ। অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকার যেভাবে হেরে গিয়েছিল। মানুষ চুপচাপ সেভাবেই এবার ভোট দিচ্ছেন। দক্ষিণ ভারতে একমাত্র কর্নাটকের ২৮টি আসনে বিজেপির কিছু শক্তি আছে। সেখানেও ৭ মে ১৪টি আসꦑনের ভোট আছে। বিজেপির শরিক জেডিএস নেতা প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। যা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলবে।