বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। আর ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র উদ্ধৃত করে জানাল সংবাদসংস্থা এএনআই। অর্থাৎ নিরাপত্তার বহরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির থেকে এগিয়ে থাকছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী। যিনি ২০১৯ সালে ব্যারাকপুরে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। পরে তৃণমূলে ফিরেছিলেন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুরে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে ফের বিজেপিতে ফিরেছেন। আর পেয়েছেন ব্যারাকপুরের টিকিট। তাঁকে ‘জেড’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। অন্যদিকে কোচবিহারের বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মন ও কোচবিহারের বিজেপির কার্যনিবাহী সদস্য তাপস দাসকে ‘এক্স’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা প্রদান ꦺকরা হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। তাঁদের সবাইকে নিরাপত্তা প্রদান করবেন সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) জওয়ানরা।
অর্জুনের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়ার ইতিবৃত্ত
২ജ০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অর্জুনকে 'ওয়াই প্লাস' নিরাপত্তা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁর জন্য 'জেড' ক্যাটেগরির নিরাপত্তায় অনুমোদন প্রদান করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২২ সালের মে'তে তৃণমূলে ফিরে গিয়েছিলেন অর্জুন। তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল যে তাঁর 'জেড' ক্যাটেগরির💖 সুরক্ষা তুলে নেওয়া হচ্ছে। যে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছিলেন অর্জুন। আর এবার সূত্র উদ্ধৃত করে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হল যে ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থীকে ‘জেড’ ক্যাটেগরির সুরক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, 'জেড' ক্যাটেগরি হল তৃতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই ক্যাটেগরির নিরাপত্তায় কমান্ডো এবং পুলিশ অফিসার মিলিয়ে মোট ২২ জন থাকেন। 'ওয়াই' ক্যাটেগরি নিরাপত্তার 💎দায়িত্বে 💖থাকেন আট থেকে ১১ জন অফিসার। দু'জন কমান্ডো থাকেন। দু'জন 'পার্সোনাল সিকিউরিটি অফিসার' থাকেন 'ওয়াই' ক্যাটেগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থায়। আর 'এক্স' ক্যাটেগরির নিরাপত্তা হল সর্বনিম্ন স্তরের সুরক্ষা ব্যবস্থা।