বাঁকুড়ায় চরম অস্বস্তিতে পড়ল বিজেপি। দলেরই প্রাক্তন পদাধিকারী নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন দলের মনোনীত প্রার্থী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। আর সেই নির্দল প্রার্থীকে এবার সমর্থনের কথা ঘোষণা করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের। জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন বিজেপির💃 বাঁকুড়া জেলার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী। এবার সে꧑ই জীবনকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে অখিলভারতীয় হিন্দুমহাসভা। অখিলভারতীয় হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী।
বাঁকুড়ায় বিজেপির অন্তর্কলহ চল🌌ছে বহুদিন ধরেই। এই আবহে সুভাষ সরকারের 'বিরোধী' হিসেবে পরিচিত নেতা–কর্মীদের একটা বড় অংশ 'নির্দল প্রার্থী' দাঁড় করানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন। জীবনের বক্তব্য ছিল, সুভাষ সরকার দলের কর্মীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এই আবহে মনোনয়ন পেশ করে জীবন চক্রবর্তী নাকি অখিলভারতীয় হিন্দু মহাসভার কাছে সমর্থনের আর্জি জানিয়েছিলেন। আর সেই মতো হিন্দু মহাসভা জীবনকে সমর্থনের ঘোষণা করে রবিবার। এমনকী জীবনকে 'প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী প্রার্থী' হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে হিন্দু মহাসভার তরফ থেকে।
উল্লেখ্য, যাদবপুর, দমদম, মালদ উত্তর, মালদা দক্ষিণ সহ বহু লোকসভা কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিয়ে বিজেপির 'ভোট কাটার' চেষ্টায় আছে হিন্দু মহাসভা। এই আবহে বাঁকুড়ায় নিজেরা প্রার্থী না দিলেও নির্দল জীবনকে সমর্থনের ঘোষণা করেছে এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই নিয়ে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড়বাবু বিজেপির মনোনীত প্রার্থীকে কটাক্ষ করে বলেন, ঠান্ডা ঘরে থেকে বা এসি গাড়িতে চেপে হাত নাড়িয়ে রাজনীতি করা যায় না। রাজনীতি করতে হলে রোদে পুড়তে হয়, জলে ভিজতে হয়, মানুষের মধ্যে দাঁড়িয়ে রাস্তায় মাটি কামড়ে থাকতে হয়। তাই কোনও সনাতনী জাতীয়তাবাদী লড়াকু নেতা অন্য দলে উপযুক্ত সম্মান না পেলে হিন্দু মহাসভা নিঃসন্দেহে সহযোদ্ধা হিসাবে তাঁর꧂ পাশে এসে দাঁড়াবে।
এর আগে গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের বিক্ষুব্ধদের হাতেই তালাবন্দি হতে হয়েছিল সুভাষ সরকারকে। এমনকী সুভাষ সরকারের ছবিতে কালি মাখিয়ে বিজেপিরই একাংশ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বাঁকুরড়া ছাতনা ও শালতোড়া এলাকায়। এই কোন্দলের আবহে 'বিদ্রোহী' জীবনকে হিন্দু সংগঠনের সমর্থন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই গোটা ঘটনায় গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি থাকলেও রাজ্য স্তর থেকে কিছু বলা হয়নি তা নিয়ে। সুভাষ সরকার নিজেও এই বিষয়টিকে বড় করে দেখতে চাইছেন না। 🃏তবে স্থানীয় বর্ষীয়ান বিজেপি নেতার নির্দল প্রার্থী হওয়ায় ভোটবাক্সে কতটা প্রভাব পড়বে, তা বোঝা যাবে ৪ জুন