বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুরাট লোকসভা আসন থেকে জিতে গেলেন বিজেপি প্রার্থী মুকেশ দালাল। আগামী ৭ মে ভোটগ্রহণের আগে সোমবার সুরাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন ছিল। সেদিন চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র (তাঁদের মধ্যে বহুজন সমাজ পার্টির প্যায়ারেলাল ভারতীও ছিলেন) প্রত্যাহার করে নেন। আর প্রস্তাবকদের স্বাক্ষরের মধ্যে গরমিলের কারণে রবিবারই কংগ্রেসের প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল ꦓকরে দেয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর 'সাবস্টিটিউট' প্রার্থী সুরেশ পদসালার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজেপি প্রার্থী মুকেশকে জয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই ঘটনাকে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের প্রতিক্রিয়া
নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক সৌরভ পারোধি বলেন, ‘সুরাট লোকসভা কেন্দ্র সংসদে যে শূন্যস্থান আছে, সেটা পূরণের জন্য মুকেশকুꦿমার চন্দ্রকান্ত দালাল নিয়মমাফিক নির্বাচিত হয়েছেন বলে আমি ঘোষಌণা করলাম।’
গুজরাটের বিজেপি সভাপতির প্রতিক্রিয়া
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুরাট আসন থেকে জিতে এবার লোকসভা নির্বাচনে পদ্মফুল ‘খাতা খোলার’ পরে গুজরাটের বিজেপির সভাপতি সিআর প্যাটেল বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্রভাই মোদীকে প্রথম পদ্ম উপহার দিল সুরাট। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের জন্য সুরাটের (বিজেপি) প্রার্থী মুকেশভাই দালালকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।' উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে সুরাট আসনে জিতে আসছে বিজ💮েপি।
কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া
সুরাট থেকে বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী ঘোষণা করা হওয়ার পরে কংগ𒈔্রেস অভিযোগ করেছে যে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের মালিক ও ব্যবসায়ীদের🐎 মধ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সেটার কারণে লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের তরফে 'ম্যাচ ফিক্সিং' করা হয়েছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ দাবি করেন, সুরাটে যে ঘটনা ঘটল, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে ভয়ংকর বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে আছে গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, 'আপ ক্রোনোলজি সামঝিয়ে। তিনজন প্রস্তাবকের স্বাক্ষর যাচাইয়ের সময় গরমিল থাকার অভিযোগে ক🐟ংগ্রেস প্রার্থী নীলেশ কুম্ভানির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সুরাটের জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। একই যুক্তি দর্শিয়ে সুরাট থেকে কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থী সুরেশ পদসালার মনোনয়নপত্রও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। (তার ফলে) কংগ্রেসের হাতে আর কোনও প্রার্থী পড়ে ছিল না।'