আগামী ১ জুন বুধবার শেষ দফায় ভোট রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং কলকাতার ৯ টি আসনে। এর মধ্যে অন্যতম লোকসভা আসন হল যাদবপুর কেন্দ্রটি। একদিকে এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ, অন্যদিকে সিপিএম প্রার্থী হলেন সৃজন ভট্টাচার্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে দুজনেই প্রচারে ঝড় তুলেছেন।ꦍ আর নির্বাচনের ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগে এই কেন্দ্রের তৃণমূল এবং সিপিএম এই দুই দলের দুটি অস্থায়ী পার্টি অফিস বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ বুধবার একটি মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, ভোটের ঠিক আগেই কেন এমন নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে আক্রান্ত CPM কর্মী, বুথে না বসার হুমকি, অভিযুক্♐তকে ধ🌳রিয়ে দিলেন সৃজন
হাইকোর্ট সূত্রের খবর, আসলে যাদবপুর কেন্দ্রে ওই দুটি পার্টি অফিღস যেখানে অবস্থিত তার ২০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে একটি নির্বাচনী বুথ। ফলে কেউ যাতে ভোটারদের প্রভাবিত না করতে পারে তার জন্য এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় এই মামলার শুনানিতে ওই পার্টি অফিস দুটি ভেঙে ফেলা নিয়ে মন্তব্য করেন। যদিও পরে অবশ্য সেরকম কোনও নির্দেশ দেননি তিনি। তবে 🎐ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে অস্থায়ী পার্টি অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওই পার্টি অফিস অবস্থিত যাদবপুরের দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে। সেই বুথের ২০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল এবং সিপিএমের অস্থায়ী পার্টি অফিস হয়েছে। ভোটের সময় ভোটারদের প্রভাবিত করা হতে পারে এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা ধীমান কুণ্ডু। অবিলম্বে যাতে কার্যালয়গুলিকে ভেঙে ফেলা হয় তা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আর্জি জানান বিজেপি নেতা। বিচারপতি মন্তব্য করেন, এই নির্মাণগুলি অবিলম্বে কমিশনের ভেঙে ফেলা 🌸উচিত।
যদিও পরে কমিশনের তরফে জানানো হয় তারা এই কাজ করে না। তবে জেলাশাসককে নির্দেশ দিলে তিনি ভাঙতে পারেন। তবে পরবর্তী সময়ে সেই মন্তব্য থেকে সরে গিয়ে বিচারপতি শ𝔉ুধু মাত্র পার্টি অফিস অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, শেষ দফায় বাংলার যে আসনগুলিতে ভোট হবে সেগুলি হল-বারাসত, দমদম, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর।