এবারও করা হয়েছিল আবেদন। কিন্তু মিলল না জামিন। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কল♋কাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত এখন পর্যন্ত যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এই প𒆙রিস্থিতিতে জামিন দেওয়া সম্ভব নয়। তাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারপতি। কিন্তু মঙ্গলবার পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, এখনই জামিন পাবেন না প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
এদিকে ২০২২ সালের ২২ জুলাই তারিখে নাকতলার বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশির পর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতারের ১৩ মাস পর প্রথম কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন 🎃করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি প্রথম থেকেই এই জামিনের তীব্র বিরোধিতা করতে থাকে। পালটা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডির অফিসাররা। ইডির উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেন, ‘পার্থকে কি আর হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এখন আর প্রাথমিক পর্যায়ে নেই। যদি ধরে নেওয়া যায় যে, ২০২২ সালের শেষে ইডির মামলাগুলি দায়ের হয়েছিল, তা হলেও দেড় বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে। এখন ইডির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া দরকার।’
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের মুখে অরবিন্দ কেজরিওꩲয়াল গ্রেফতার কেন? ইড🐓ির কাছে জবাব তলব সুপ্রিম কোর্টের
অন্যদিকে ২০২৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলায় প্রথম শুনানি ছিল। কিন্তু ইডি তখন শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। ইডির আবেদন মেনে শুনানি পিছিয়েও দেন বিচারপতি। পরে সিবিআইয়ের মামলায়ও জামিনের আর্জি জানান পার্থ। আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকার দায় তাঁর উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি চান তিনি। এখন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে বন্💫দি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ এনেছে। ইডি–সিবিআইয়ের আনা সেই অভিযোগের শুনানি চলছে।