২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের বাকি আর কয়েক সপ্তাহ। কয়েকদিনের মধ্যে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল পদত্যাগ করেন গত সপ্তাহে। এই আবহে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনারের দু'টি শূন্যপদ রয়েছে। কারণ গত ফেব্রুয়ারিতে অপর নির্বাচন কমিশনার অনুপ পাণ্ডে অবসর নিয়েছিলেন। এই আবহে শুধুমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমার আছেন কমিশনের ফুল বেঞ্চে। আর তাই লোকসভা ভোটের আগে দুই নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে মামলা করা হল সুপ্রিম কোর্টে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটির রিফর্ম নামক সংস্থার আবেদনের প্রেক্ষিতে সেই মামলা গৃহীত হয়েছে। ১৫ মার্চ, শুক্রবার মামলাটি উত্থাপিত হতে পারে শীর্ষ আদালতে। উল্লেখ্য, এই মামলাকারীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতেই নির্বাচনী বন্ডকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল শীর্ষ আদালত। (আরও পড়ুন: ডিএ চমক রাজ্যের, ১২৪ কোটি ব্যয়ে সরকারি কর্মীদের খুশি করার চেষ্টা মুখ্যমন্তꦿ্রীর)
প্রসঙ্গত, বর্তমান আবহে কমিশনার পদে নিযুক্ত দুই আধিকারিকই কেন্দ্রীয় সরকারের 'আস্থাভাজন' হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিরোধীরা। কারণ দুই নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের মতই বেশি প্রাধান্য পাবে। এই প্রক্রিয়ার জন্য প্রথমে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সার্চ কমিটি সম্ভাব্যদের তালিকা তৈরি করবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার তিন সদস্যের কমিটি সেই তালিকা থেকে বেছে নেবেন নির্বাচন কমিশনারকে। এদিকে সার্চ কমিটি ৫ জনের নাম প্রস্তাব করে পারে। তবে সেই তালিকার বাইরে থেকেও কমিশনার নিয়োগের অধিকার রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির। (আরও পড়ুন: নিজ্জরকাণ্ডে মুখ পুড়ল ট্রুডোর! '💙প্রমাণে' সন্দেহ প্রকাশ কানাডার বন্ধুরাষ্ট্রের)
আরও পড়ুন: পড়শি রাজ্য বাড়িয়েছে ১৬% পর🍷্যন্ত, তা দেখে এই রাজꦏ্যও ভোটের আগেই বাড়াল ডিএ
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম জোসেফ, অজয় রাস্তোগী, অনিরুদ্ধ বোস, হৃষিকেশ রায🐠় এবং সিটি রবিকুমারের সমন্বয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, অনেক রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় এসেছে। তবে তাদের কেউই নির্বাচন কমিশনের নিয়োগের জন্য আইন বা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া তৈরি করেনি। সংবিধানের ৩২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে এই বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা 'অনিবার্য প্রয়োজনীয়তা' বলে উল্লেখ করা হয়। সেই সময় শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সহ অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের দায়িত্বে থাকা কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার সঙ্গে থাকবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তবে সেই কমিটি থেকꦅে প্রধান বিচারপতির নাম 'কাটতে' বিল আনে কেন্দ্র। তারপর তা আইনে কার্যকর হয়। সুপ্রিম কোর্টের মার্চের রায়কে নাকচ করতেই এই নয়া আইন। আর এখন এই নিয়মেই নয়া নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হবে। আর সেই প্রক্রিয়া রুখতে আদালতের দ্বারস্থ হল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমিক্র্যাটিক রিফর্মস। এই সংস্থার হয়ে মামলাটি লড়বেন বরিষ্ঠ আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তিনিই দাবি করেন, প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে নাকি তাঁকে বার্তা পাঠানো হয়েছে যে এই মামলাটি শুক্রবার তালিকাভুক্ত করা হবে।