আলিপুরদুয়ার এবার বিজেপির কাছে বড় চ্য়ালেঞ্জ। ২০১৯ সালে চা বলয়ে থাকা এই আলিপুরদুয়ার থেকেই জন বার্লাকে পাশে নিয়ে এনআরসি ইস্যুকে সামনে এনেছিলেন অমিত শাহ। সেবার জন বার্লা ছিল বিজেপির চোখের মণি। আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ককে নিজেদের দিকে টানতে জন বার্লার( জন বারলা) জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু সেসব আজ অতীত। এবার লোকসভা ভোটে টিকিট পাননি বার্লা। সেখানে এব🐻ার দাঁড়াচ্ছেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। এরপরই চটে লাল জন বার্লা।
দিল্লিতে গিয়েও ট🐓িকিট ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন বার্লা। কিন্তু চিড়ে ভেজেনি বলেই খবর। এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে তিনি লক্ষ্মীপাড়া চা বাগান সংলগ্ন বাড়িতে বসে মনোজের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মনোজ টিগ্গা বিধায়কদের নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে আমার নামে বদনাম করেছেন। নিজে টিকি༒ট পাওয়ার জন্য এসব করেছে মনোজ। ও কোনওদিন আদিবাসীদের জন্য আন্দোলন করেনি। …মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছেন। আমি ওর হয়ে প্রচারে গিয়ে মার খেতে রাজি নই।
গতবার আড়াই লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন জন বার্লা। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পদও জুটে গিয়েছিল। কিন্তু আদৌ কি তিনি আলিপ🌺ুরদুয়ারের চা বলয়ের উন্নতিতে মন দিয়েছিলেন? নাকি পৃথক রাজ্যের কথা বলে অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন বিজেপির?
তবে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ♛প্রাক্তন নেতা জন বার্লার গ্রহণযোগ্যতা এখনও রয়েছে ডুয়ার্সের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্য়ে ও চা বলয়ের মধ্য়ে। তবে অনেকের মতে ক্ষমতার অলিন্দে প্রবেশের পরে ধীরে ধীরে চা বলয়ের থেকে দূরে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনচর্চা নিয়েও স্থানীয় স্তরে চর্চা হচ্ছিল।
এদিকে জন বার্লার ক্🀅ষোভের কথা জানতে পেরেই প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বুধবারই জনের বাড়িতে হাজির হন। মূলত মান ভাঙাতেই তিনি গিয়েছিলেন বলে খবর। কিন্তু জন বার্লার সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। মনোজ জানিয়েছেন, কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য দেখা হয়নি। এদিকে মাদারিহাটে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ভাবছে দল। তাঁকে দলের ভালো পদ দেওয়ার কথাও ভাবছে দল। কিন্তু ক্ষমতার স্বাদ যিনি পেয়েছেন তিনি কি আর এত ত🔴ুষ্ট হবেন?
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মনোজ টিগ্ܫগাও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। চা বলয়ে তাঁর প্রভাব কম কিছু নয়। সেই সঙ্গেই তিনি বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাধারণ জীবনযাত্রা নজর কাড়ে অনেকেরই।