কৃষক বিরোধী সরকারের তকমা আগেই পড়েছিল নরেন্দ্র মোদীর গায়ে। কারণ বিতর্কিত কৃষি বিল নিয়ে আসায় দেশজুড়ে কৃষক আন্দোলন আছড়ে পড়েছিল। বাধ্য হয়ে পিছু হঠতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে। এখন লোকসভা নির্বাচনের মরশুম চলছে। তাই নির্বাচনী প্রচারে বাংলায় দেখা যাচ্ছে প্রধা⛄নমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সভা করতে। আর এই নির্বাচনী সভা করার জন্য আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের পুরশুড়ায় কৃষিজমি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। এবার এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধীতার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্র🦂েসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রীকে।
꧃এই কৃষিজমি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত রবিবার 🔯নরেন্দ্র মোদী পুরশুড়ায় সভা করেন। তাতেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার আরামবাগের সাঁওতায় পাল্টা সভা করে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি কৃষক বিরোধী। কালা কৃষি আইন এনে ৭০০ কৃষককে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করিয়েছিল। এবার সরাসরি কৃষকের জমি নষ্ট করে প্রধানমন্ত্রী সভা করেছেন এই আরামবাগের মাটিতে।’ এই বক্তব্যের পাল্টা বিজেপির পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের বক্তব্য, ‘মূর্খদের কথার গুরুত্ব নেই। মিথ্যা কৃষকদরদী সেজেও লাভ নেই। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য যে জমি নেওয়া হয়েছিল, কৃষকদের দাবি অনুযায়ী তার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’ অর্থাৎ ফসল নষ্ট করে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কবি নজরুল মেট্রো স্টেশনের শেড উড়ে গিয়েছে কালবৈশাখীতে, ১০ দিন অতিক্র💖ান্ত, এখনও লাগানো হয়নি
এই ফসল নষ্ট হওয়ায় বাংলার ক্ষতি হল বলে মনে করছেন অভিষেক। কারণ সেই ফসল বাজারে এলে তা বিক্রি হতো। তাতে মানুষজন খেয়ে–পড়ে বাঁচতেন। সেটা হতে দিলেন না প্রধানমন্ত্রী। কৃষকরা টাকা পেল ঠিকই, কিন্তু ফসল পরিশ্রম করেই ফলিয়েছিলেন বাংলার কৃষকরা। 💦আর তা জনগণ পেলও না। অভিষেকের বক্তব্য, ‘২০২♉১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এখানে বিজেপি জিতেছিল। অথচ বিজেপিই গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা বন্ধ করেছে। আর বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেস এখানের চার কেন্দ্রে হারলেও রাজ্য সরকার কারও লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করেনি।’
এখানে সিপিএম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন অভিষেক। কারণ সিপিএম এখন বিজেপির জামা গায়ে পরে নিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আরামবাগে আলুচাষিরা কোন জমিতে কে চাষ করবেন, কখন চাষ করবেন সেটা নিয়ে বামফ্রন্ট সরকারের জমানায় সিপিএমের লোকাল কমিটি, জোনাল কমিটির সদস্যদের অনুমতি নিতে হতো। সিপিএম ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ🎃ে হারার পরে বছর পাঁচেক বাড়িতে বসেছিল। পরে লাল জামা ও পতাকা পাল্টে গেরুয়া জামা ধারণ করেছে।’ সূত্রের খবর, এই জমি নষ্ট হবে বুঝতে পেরে কৃষকদের হাতে মোটা টাকা দিয়েছে বিজেপি নেতারা। যাতে তাঁরা মুখ না খোলেন।