চতুর্থ দফার লোক💖সভা নির্বাচন শেষ হয়ে গিয়েছে। পঞ্চম দফার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেদিকে তাকাল💞ে আগামী ২৫ মে বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ–পর্ব রয়েছে। অর্থাৎ ষষ্ঠ দফায় এই লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। সুতরাং হাতে বেশি সময় নেই। এই আবহে এবার অভিনব কায়দায় প্রচার শুরু করলেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডা. সুভাষ সরকার। তাঁকে এই লোকসভা কেন্দ্রে গত পাঁচ বছরে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই জনগণের মন পেতে এবার পুরনো রাস্তায় হাঁটা লাগালেন বিজেপি প্রার্থী।
ঠিক কী সেই অভিনব পদক্ষেপ? এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সুভাষ সরকার মন্ত্রী হয়েছিলেন কেন্দ্রের। কিন্তু বাঁকুড়া জুড়ে তাঁর কোনও কাজ নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দলের কর্মীরাই এবার সুভাষবাবুকে প্রার্থী হিসাবে চাননি। তাই একবার তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন দলের কর্মীরা। একাধিকবার গো–ব্যাক স্লোগান শুনতে হয়েছে তাঁকে। দলের বহু কর্মী এখন বসে গিয়েছেন। কাজ করছেন না ভোটে বলে সূত্রের খবর। তাই মানুষের সমর্থন পেতে এবার অভিনব পন্থা অবলম্বন করলেন ꧙ডা. সুভাষ সরকার। একাধিক এলাকায় ভোট প্রচার তো করছেনই। এবার ভোট প্রচারের জন্য নিজে হাতে পোস্ট কার্ডে চিঠি লিখে মানুষের মধ্যে বিলি করে নয়াদিল্লির সরকার গড়ার জন্য ভোট চাইছেন।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত, কে🏅ন?
কেন এমন পদক্ষেপ বিজেপি প্রার্থীর? এখন ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, এক্স হ্যান্ডেল, ইনস্টাগ্রামের যুগ। সেখানে বাড়ি বাড়ি ডাক হরকরার কাজ করছেন সুভাষ সরকার। অর্থাৎ চিঠি বিলি করছেন। এই নিয়ে সুভাষ সরকার বলেন, ‘সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগꦯ তৈরি করতেই আমার এই পদক্ষেপ। তাই আমার এই চিঠি লেখা। এই চিঠি সমাজের নানা স্তরে পৌঁছে যাবে। আজকাল পোস্ট কার্ড বা হাতে লেখা চিঠি প্রায় উঠে গিয়েছে বললেই চলে। সেখানে আবার সেটাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। তাই পুরনো সংস্কৃতিকে তুলে ধরতেই এই অভিনব পন্থা অবলম্বন করলাম।’
আর কী জানা যাচ্ছে? আগেও এক🅺াধিক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন এই বিজেপি প্রার্থী। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রানীবাঁধ, রাইপুর এবং তালডাংরা এই তিন বিধানসভা কেন্দ্র আদিবাসী অধ্যুষিত। তাই এখানে অলচিকি ভাষায় দেওয়াল লিখতে দেখা যায় সুভাষ সরকারকে। আসলে আদিবাসী ভোটারদের বিজেপির দিকে টানতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। রোড শোয়ে বেরিয়ে জুতো পালিশ করতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রায় সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিন উপলক্ষ্যে জুতো পালিশ করেন জনসমক্ষে। কোনও কাজই ছোট নয়, মানুষের সামনে সেই বার্তা তুলে ধরেন। এবার চিঠি নিয়ে সুভাষ চলেছে ঘর𓂃ে ঘরে।