ভোট দিতে এসে ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এই ঘটনায় আজ, শনিবার ভোটসপ্তমীতে বেলগাছিয়ায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আজ ভোট দেওয়ার পর মিঠুন চক্রবর্তী যখন বাইরে বের হন তখন তৃণমূল কংগ্রে🤡সের কর্মী–সমর্থকরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের বেলগাছিয়ার দত্ত বাগান ২২ নম্বর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে শেষ তথা সপ্তম দফার নির্বাচনে। এমনটা যে ঘটবে তা ভাবতেও পারেননি অভিনেতা–নেতা। এবার উত্তর কলকাতা নজরকাড়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এ𓃲খানে তাপস রায় বিজেপির প্রার্থী যিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি যোগ দেন।
এই তাপস রা♛য়ের হয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর কলকাতায় এসে রোড–শো করেছিলেন। তবে এখানের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বারবার জিতে সংসদে গিয়েছেন। সুতরাং এখানের লড়াই জমে উঠেছে। এখানে আজ উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে। তার মধ্যেই বিজেপির নেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ‘চোর চোর’ স্লোগান শুনতে হয়েছে। তাতেই তিনি বেশ ঘাবড়ে যান। বেলগাছিয়ায় বিজেপি তারকা প্রচারক তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ঘিরে চোর স্লোগান ওঠায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ সকালে ভোট দিতে যান অভিনেতা। ভোটের লাইনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘আমায় ফিরতে দে, তারপর যা বলার 🔯বলব’, তিহাড় জেল 🧸থেকে কড়া বার্তা দিলেন কেষ্ট
এদিকে ভোট দিয়ে বেরোনোর পর মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখে ‘চোর চোর’ স্লোগান দেওয়া হয়। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী–সমর্থকদের বিরুদ্ধে উঠেছে। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের বেলগাছিয়ার দত্তবাগান ২২ নম্বর এলাকায় মিঠুনকে চরম চাপের মুখে পড়তে হয়। তবে তিনি ভোট দিয়েছেন। উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের ১৬৮/ ২৪৮ নম্বর বুথে ভোট দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তবে চোর চোর স্লোগান ওঠায় তিনি বড় অস্বস্তিতে পড়েন। এই স্লোগান যাঁরা তুলছিলেন তাঁরা বলেন, ‘ওই মিঠুন 🍸চক্রবর্তী চোর। কারণ ওই লোকটা সিপিএম, তৃণমূল এবং বিজেপি—তিন পার্টির থেকেই খেয়েছে। সুবিধা নিয়েছে। তাই আজ তাঁকে চোর স্লোগান শু𒁏নতে হয়েছে।’
অন্যদিকে মিঠুন চক্রবর্তী আজ ভিভিআইপি’র লাইনে না দাঁড়িয়ে সাধারণ ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। এই ঘটনায় ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তোলেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর। তবে মিঠুন চক্রবর্তী ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এই অশান্তি করে কোনও লাভ হবে না। আমি কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না। আমার দল আমাকে ৩০ জুন পর্যন্ত কাজ করতে বলেছিল। আ🙈মি প্রচারক হিসাবে কাজ করেছি। আজ ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। এভাবেই তো ভোট দিতে হয়। আমি কি লাইন ভেঙে ভোট দেব? আমা💫কে সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল আলাদা করে। কিন্তু আমি লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দিয়েছি। আমার রাজনীতির কাজ শেষ। এবার আমি আমার পেশায় প্রবেশ করব। সিনেমা নিয়ে কথা বলব।’