একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসা করলেন অপরদিকে সিপিএমেরও প্রশংসা করলেন। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন ভূমিকাতেই দেখা গেল বি♚রোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর মুখ থেকে নিজের প্রাক্তন দলের সমালোচনাই সবসময় শোনা যায়। মাঝেমধ্যে সেই আক্রমণ মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সেখানে হঠাৎ শুভেন্দু অধিকারীর মুখে লোকসভা নির্বাচনের মরসুমে শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে। তা থেকে নানা গুঞ্জনের জন্ম হয়েছে। যদিও এটা প্রথমবার। আরও বেশ কয়েকবার হলে তখন বিষয়টি সংবাদ শিরোনামে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই তিন দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। চতুর্থ দফার ভোট ১৩ মে। সেক্ষেত্রে হাতে আর তিনদিন আছে। এই আবহে কাঁথি টাউন হলে বুধবার বিজেপির দলীয় বৈঠক হয়। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেত𓄧া শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি লোকসভা কেন💮্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী করেছে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীকে। আর এখানের মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু বলেন,‘আমি সব বিষয়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও বিরোধী দল হিসেবে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তারা যে ধৈর্য রেখেছিল সেটা প্রশংসনীয়। কখনও কংগ্রেসের সাহায্য নিয়েছে। কখনও এনডিএ’তে ঢুকেছে, বেরিয়েছে। এসইউসি’র সঙ্গে জোট করেছে। আবার কখনও সিদ্দিকুল্লার সাহায্য নিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ‘দ্রুত অনুসন্ধান বন্ধ করুন’, শ্লীলতাꦿহানি প্রসঙ্গে তদন্ত নিয়ে মুখ্যসচ🎶িবকে চিঠি রাজ্যপালের
এখানেই থেমে থাকেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 💞শুভেন্দু অধিকারী লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার প্রাক্কালে সিপিএমের প্রশংসাও করেন। এই তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের প্রশংসা করলে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান। কারণ শুভেন্দুর বক্তব্য, ‘আমি বামেদের সব সময় নিন্দা করি। তবে তাদের পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে সমর্থন করি। ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থাকে সমর্থন করি। যদিও এখনকার বামেদের নয়। কারণ, এরা ভোট কেটে চোরেদের জেতায়।’ যে সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে একদা গালিগালাজ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, এখন তিনিই প্রশংসা করছেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের সবাই চোর বলে সোচ্চার হন।⛄ সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসাও করলেন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এই বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপির ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্দেশে শুভ😼েন্দু বার্তা দেন, ‘আপনাদের অনেক ত্যাগ করতে হবে। কৃচ্ছ্রসাধন করতে হবে। সংযম পালন করতে হবে। হয়তো গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা বিরোধী দলনেতা নির্বাচন করা আমাদের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ সঠিক হয়নি। তবু আমাদের রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য। এই লোকসভা নির্বাচনে যদি রাজ্যে বিজেপি ৩৫ আসন জিততে পারে তবে আগামী ২০২৬ সালে নয়, চলতি বছরই বিধানসভা ভোট হবে।’ এই বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডার কথায়, ‘সিবিআই আর ইডির হাত থেকে বাঁচতে বিরোধী দলনেতাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গালিগালাজ করতে হয়। কিন্তু তিনিও জানেন, তৃণমূলের মতো রাজনৈতিক দল ভারতবর্ষে নেই। যারা বহু ঘাত–প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে।’