বোমাবাজি–গুলি–ইট–কাঁদানে গ্যাস চলেছে সন্দেশখালিতে। লোকসভা নির্বাচনে সপ্তম তথা শেষ দফাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সন্দেশখালি। অশান্তির জেরে আহত হয়েছেন তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষের ৬জন। পথ অবরোধ হয়ে থাকল বাসন্তী হাইওয়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চালানো হয় কাঁদানে গ্যাস। তৃণমূল–বিজেপি দু’পক্ষই লাঠি ও বাঁশ দিয়ে মারধরের অভিযোগ তুলেছে। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আটক হয়েছে দু’পক্ষের পাঁচজন। এই আবহে ফোঁস করে উঠে এক্স হ্যান্ডেলে নির্বাচনে হিংসার কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপালౠ সিভি আনন্দ বোস।
শনিবার সকালে ৯টায় নির্বাচন চলাকালীন আগরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প অফিসে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ধনা শেখ এবং কর্মীদের উপর চড়াও হয় বিজেপির বাহিনী। বাঁশের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ধনার। তাঁকে বাঁচাতে এলে জখম হন পঙ্কজ মণ্ডল। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতেই এলাকা ছাড়ে বিজেপির দলবল বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর গোলমাল শুরু হয় বোয়ারমারি অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের সামনে। তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্পে অঞ্চল সভাপতি নলিনী ⛦খাটুয়ার উপর বন্দুক, লাঠি, বাঁশ নিয়ে চড়াও হওয়ার অভিযোগ💯 ওঠে বিজেপি নেতা চঞ্চল খাটুয়ার দলবলের বিরুদ্ধে। মাথা ফাটে নলিনীবাবুর। তখন ভোট দিয়ে বের হচ্ছিলেন তাঁর ছেলে সৌমিত্র খাটুয়া। বাবাকে বাঁচাতে গেলে বিজেপির দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তিনিও।
আরও পড়ুন: ‘সপ্তম দফায় বিজেপির কফিনে শেষ পেরেক পোঁতা হয়েছে’ও, স্পষ্ট দা🧸বি করল তৃণমূল কংগ্রেস
পরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ উঠেছে। নলিনী খাটুয়ার নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে বিজেপির অভিযোগ। গুলি চলে বলেও দাবি বিজেপির। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র দলীয় কর্মীদের উপর অত্যাচারের খবর পেয়ে যান রাজবাড়ি এলাকায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। উর্দি খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিজেপি প্রার্থী। এই আবহে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। এবার😼 মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সন্দেশখালি কাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যপাল নিজের চিঠি পোস্ট করে𒉰ছেন। যেখানে তিনি সন্দেশখালি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও সন্দেশখালির হিংসার ঘটনায় আক্ಞরান্ত হয়েছে পুলিশও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল। সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচনে সন্দেশখালির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী রাজ্যপাল যে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিলেন শেষ দফার নির্বাচনে তাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।