লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দ𝓀ফা মিটে গিয়েছে। বাকি আছে আর তিন দফা। তাই সর্বত্র জোরকদমে নির্বাচনী প্রচার–সভা–সমাবেশ চলছে। পঞ্চম দফার প্রস্তুতি চলছে জেলায় জেলায়। এই আবহে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে টালমাটাল পরিস্থিত🔥ি তৈরি হল। বিজেপির অন্দরে চওড়া ফাটল দেখা দিয়েছে। কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী করেছে সৌমেন্দু অধিকারী অর্থাৎ শুভেন্দুর ভাইকে। আর এবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘আদি’ বিজেপি নেতা বিদেশ বসু মাইতিকে প্রার্থী করল হিন্দু মহাসভা। আর এই ঘটনার পরই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অধিকারী পরিবারের সদস্যরা। তাহলে কি বাবার আসন ধরে রাখতে পারবেন না ছেলে? উঠছে প্রশ্ন।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বিজেপির সংগঠন আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আদি নেতারা অধিকারী পরিবারের দাপট মেনে নিতে নারাজ। এখানে আদি ও নব্যের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।ℱ বহু আরএসএস কার্যকর্তা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। এবার সৌমেন্দু অধিকারী কাঁথি লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হতেই ক্ষোভ চরমে পৌঁছেছে। বিদ্রোহ ঘোষণা করেন আদি বিজেপি নেতা বিদেশ বসু। আর তারপর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। কারণ সৌমেন্দুকে নিয়ে দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তার উপর হিন্দু মহাসভাꦰর প্রার্থী দেওয়া স্নায়ুর চাপ বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তমলুকের সভায় অভিজি👍তের নাম নিলেন না মুখ্যমন্ত্রী, কদর্য ভাষায় আক্রমণের জবাব 🐲উপেক্ষায়
এদিকে যাদবপুর, বাঁকুড়া, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণের মতো কেন্দ্রে হিন্দু মহাসভা প্রার্থী দিয়েছে। আবার অনেক জায়গায় নির্দল প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। এবার কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে বিদেশ বসুকে সর্মথন করল হিন্দু মহাসভা। তাতে বিজেপির লড়াই বেশ কঠিন হল। এই বিষয়ে হিন্দু মহাসভার সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেন, ‘যে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রকৃত সনাতনী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যাঁরা খোলা ম🐬নে রাজনীতি করতে না পেরে নিজের দলেই কোণঠাসা তাঁদের জন্য হিন্দু মহাসভা আছে। ঠান্ডা ঘরে বসে এবং এসি গাড়িতে চেপে হাত নাড়িয়ে রাজনীতি হয় না। আর দাদা বিরোধী দলনেতা বলে প্রার্থী হওয়া, সুস্থ রাজনীতি নয়। মানুষ কাচ আর হীরের পার্থক্য বুঝে বিদেশবাবুকে নির্বাচিত করবেন।’