নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রকে উদ্ধৃত করে মানিকন্ট্রোল জানিয়েছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হায়দরাবাদ থেকে অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (এআইএমআইএম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বিরুদ্ধে বিখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় সানিয়♐🦂া মির্জাকে প্রার্থী করার কথা ভাবছে কংগ্রেস।
বুধবার গোয়া, তেলেঙ্গানা, উত⛄্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং দমন ও দিউ- এই চার রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি (সিইসি) ১৮ জনের নাম অনুমোদন করেছে।
রাজনৈতিক বিশেষ꧟জ্ঞদের মতে, কংগ্রেস সানিয়া মির্জার জনপ্রিয়তা ও তাঁর সেলিব্রিটি স্ট্যাটাসের দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। কংগ্রেস সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হায়দরাবাদে জিতেছিল এবং কে এস নারায়💜ণ সাংসদ হয়েছিলেন।
সূত্রের খব♍র, মির্জার নাম প্রস্তাব করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক তথা কংগ্রেস নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। ২০১৯ সালে সানিয়া মির্জার বোন আনাম মির্জার সঙ্গꦅে বিয়ে হয় ক্রিকেটারের ছেলে মহম্মদ আসাদুদ্দিনের।
আজহারউদ্দিন সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যেখানে তিনি জুবিলি হিলস আসন থেকে ভারত রাষꦦ্ট্র সমিতির (বিআরএস) মাগন্তি গোপীনাথের কাছে ১৬,০০০ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ লোকসভা কেন্দ্র
হায়দরাবাদ একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যময় জনসংখ্যাতত্ত্ব রয়েছে। এআইএমআইএম-এর একটি শক্ত ঘাঁটি, এই অঞ্চলে ২০💃২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির’ (কংগ্রেস) সাম্প্রতিক পুনরুত্থান এআইএমআইএমের আধিপত্যের &nbs⭕p;কাছে একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যা একটি তীব্র কঠিন লড়াইয়ের পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
১৯৮৪ সালে, সুলতান সালাহউদ্দিন ওয়াইসি হায়দরাবাদ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এবং পরে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এআইএমআইএম প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন। তার পর আসাদ্দুদ্দিন ওয়াইসি ২০০৪ সাল থেকে এই আসনটি ধরে রেখে উ♎ত্তরাধিকার বহন করছেন। ২০১৯ সালে ওয়েইসির বিরুদ্ধে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তিনি তার আধিপত্য বজায় রেখে মোট প্রদত্ত ভোটের ৫৮.৯৪% পেয়ে আসনটি জিতেছিলেন।
নির্বাচন ২০২৪
এই লোকসভা নির্বাচনের জন্য হায়দরাবাদে বিজেপি মাধবী লতাকে প্রার্থী করেছে, এবং বিআরএস গদ্দাম শ্রীনিবাস যা𒁃দবকে প্রার্থী করেছে।
৫৪৩টি সংসদীয় আসনের নির্বাচন সাত ধা🏅পে অনুষ্ঠিত হবে, যা ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১ জুন শেষ হবে। প্রথম দফার ভোট ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোট ৭ মে, চতুর্থ দফার ভোট ১৩ মে, পঞ্চম দফার ভোট ২০ মে, ষষ্ঠ দফার ভোট ২৫ মে এবং শেষ ও সপ্তম দফার ভোট হবে ১ জুন। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ১৩ মে।