তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচনে কিছু অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। ক🧜িন্তু সেখান থেকে কোনও অভিযোগ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের খোলা পিস রুমে এসে জমা পড়েনি বলেই সূত্রের খবর। শান্তির খোঁজ কেউ করেননি শান্তি কক্ষে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই হাওয়া ঘুরে গিয়েছে। যার জন্যই রাজ্যপাল ফুঁসে উঠে বলেছেন, রাজভবনে দিদিগিরি তিনি মানবেন না। কিন্তু পিস রুমে যদি কেউ পিস না খোঁজে তাহলে সেটা রেখে লাভ কী?🐬 উঠছে প্রশ্ন।
এখনও পর্যন্ত বাংলায় মোট ১০টি কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে ভোট হয়। ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় রায়গঞ্জ, বালুরঘাট, দার্জিলিংয়ে ভোট হয়। আর মঙ্গলবার তৃতীয় দফায় ভোট হয়ে গেল মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রে। রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। প্রথম দু’দফাতেও ভোট শা💃ন্তিপূর্ণ হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় দফায় দেখা গেল, রাজভবনের পিসরুমে একটিও অভিযোগ জমা পড়ল না। এই নিয়ে রাজ্যপাল এতটাই বিড়ম্বনায় পড়েছেন যে কোনও কথা বলতে চাইছেন না। সুতরাং রাজ্য–রাজনীতিতে পﷺিস রুম এখন অতীত হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ‘মঙ্গলকোটে কালো দিন ফিরিয়ে আনতে চাইছে’, সিপিএম–বিজেপিকে তোপ অভিষেকেﷺর
এদিকে এই পিস রুম বা শান্তি কক্ষ খোলা হয়েছিল পঞ্চꦑায়েত নির্বাচনের সময়ে। আর তা খুলে রাজভবন থেকে সমান্তরাল পথে হাঁটছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শান্তির খোঁজে তখন কিছু অভিযোগ জমাও পড়েছিল। তাই নিয়ে ছুটে বেরিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল। একইরকম সাফল্য আসবে ভেবেছিলেন রাজ্যপাল লোকসভা নির্বাচনেও। তাই পোর্টাল খুলেছিলেন। লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে— [email protected] এই ইমেল আইডিতে তা জানাতে সাধারণ মানুষকে আহ্বান করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কিন্তু রাজভবনের শান্তি কক্ষে শান্তির খোঁজে কেউ অভিযোগ করলেন না।
অন্যদিকে এই পরিস্থিতির জন্য রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগই দায়ী বলে মনে করছেন অনেক𒉰ে। কারণ পিস রুমে কর্তব্যরত মহিলার সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি হেয়ার স্ট্রিট থানায় কাঁদতে কাঁদতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তখন রাজ্যপাল কোচিতে চলে যান📖। ফিরে এসে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফোঁস করে ওঠেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। কিন্তু তারপরও বাংলার মানুষ রাজ্যপালের উপর আস্থা রাখলেন না। বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপরই আস্থা রাখলেন আপামর বাঙালি।