লোকসভা নির্বাচনে খুব একটা খাটছিলেন না মিনাখাঁর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক উষারানি মণ্ডল। এই কারণ🐭ে বসিরহাটে প্রচারে এসে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক ও তাঁর স্বামীর বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে কোনও সম্পর্ক নেই উষারানির সঙ্গে। এবার এটাকেই ইস্যু করে নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে আজ, মঙ্গলবার সভা করতে এসে মোদীর কটাক্ষ, ‘শাহজাহানদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যাঁরাই করেছে, তৃণমূল তাঁদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী হয়ে এমন সব ইস্যুতে কথা বলছেন নরেন্দ্র মোদী যা তাঁর পদমর্যাদার সঙ্গে যায় না বলে মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মিনাখাঁর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উষারানি মণ্ডলকে নিয়ে আগে বিতর্ক ছিল। তাঁর বাংলাদেশি পরিচয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এবার লোকসভা নির্বাচনে উষারানির বিরুদ্ধে দলের হয়ে কাজ না করার অভিযোগ পৌঁছে যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। আর তাই রবিবার বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের হ💯য়ে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেও জনসভায় দেখা যায়নি উষারানিকে। তাতেই ক্ষুব্ধ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা থেকেই নেত্রী বলেন, ‘আপনি আর আপনার স্বামী মিলে দলটাকে বেচে দেবেন ভেবেছেন? সেটা হবে না। পায়ে ধরে ক্ষমা না চাইলে, তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ত্যাগ করলাম।’
আরও পড়ুন: একসঙ্গে দুই কৃষকের মৃত্যু বনগাঁয়, রেমালের জেরে বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে মর্মা🎉ন্তিক দুর্ঘটনা
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরে আসরে নামেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মিনাখাঁর বিধায়ক উষারানি মণ্ডল ❀এবং তাঁর স্বামীকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে ডেকে পাঠান। আর আলাদা করে বৈঠক করেন বলে খবর। সেখানে অভিষেক স্পষ্ট জানান, আগে ভোট, পরে সব সমস্যা শোনা হবে। বসিরহাটে দলের প্রার্থীকে বড় ব্যবধানে জেতাতে কোমর বেঁধে নামতে হবে। এই বৈঠকের পর আজ মঙ্গলবার থেকে 💝উষারানিকে প্রচারে দেখা যাচ্ছে। সুতরাং অভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে।
সন্দেশখালি ইস্যু ব্যুমেরাং হতেই চাপ বেড়েছে বিজেপির। সেখান থেকে পরিস্থিতি এখন ঘোরাতে মরিয়া বিজেপি। তাই বসিরহাট ও বারাসতের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই ইস্যুকেই কাজে লাগাতে চাইলেন। তাই প্রধানমন্ত্রী নিশানা করলেন, ‘সন্দেশখালিতে শাহজাহানদের অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ যে তৃণমূল নেতারাই করেছেন, তাঁদেরই চুপ করিয়ে দিয়েছে দল। এমনকী তিনি দলের বিধায়ক হলেও নিস্তার পাননি। শাহজাহানদের দমন করতে রেখা পাত্রদের প্রয়োজন। তাই চব্বিশꦦের নির্বাচনে বসিরহাট থেকে রেখা পাত্রকে জেতান।’🧸 যদিও রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। আর সেটা ঢাকতেই এই ইস্যুকে ব্যবহার করলেন প্রধানমন্ত্রী।